মহিলাদের বিয়ে করে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি তুলে রাখত সে, তবে উদ্দেশ্য সফল হল না
এক এক করে ৫ জন মহিলাকে মিথ্যা বলে বিয়ে করেছিল সে। বিয়ের পর বিশেষ উদ্দেশ্যে তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবিও তুলে রাখত। কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হল না।
বিয়েটা করত নিজেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে। বলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি করে। ভাল ছেলে ভেবে তরুণীরা তাঁর প্রেমে পড়ে যেতেন। দ্রুত তাঁরা বিয়েটাও সেরে ফেলতেন।
বিয়ের পর বেশ ভাল কোনও জায়গায় বিলাসবহুলভাবে স্ত্রীকে নিয়ে মাস দুয়েক কাটাত সতীশ বাবু নামে ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে এই সময় তার যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হত সেসব মুহুর্তের অন্তরঙ্গ ছবি স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই সে ভিডিও করত।
স্ত্রীর খোলামেলা ছবিও তুলে রাখত। স্ত্রীকে বোঝাত আমেরিকায় তো তাকে মাঝে মাঝে যেতেই হবে কর্মসূত্রে। তখন স্ত্রীকে কাছে না পেলেও এই ছবিগুলি সে সময় তার মন ভাল করে দেবে। স্বামীর এই আবদার স্ত্রীরা সরল বিশ্বাসে মেনেও নিতেন। কিন্তু তারপরই শুরু হত অন্য খেলা।
সতীশ বাবুর প্রথম বিয়ে ২০০৫ সালে। বিশাখাপত্তনমে শৈলজা নামে এক তরুণীকে বিয়ে করে সে। এই বিয়ের পর ২০১৪ পর্যন্ত অন্য কোনও মহিলাকে বিয়েটা অন্তত করেনি।
২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাভানিয়াতে আর এক মহিলাকে বিয়ে করে সে। তবে প্রথম বিয়ে লুকিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১৭ সালে। আর ওই বছরই সে বিয়ে করে লক্ষ্মী নামে এক তরুণীকে।
কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই লক্ষ্মীর সতীশ সম্বন্ধে সন্দেহ হয়। তিনি সোজা হাজির হন থানায়। এদিকে ওই বছরই দিব্যা নামে ফের এক তরুণীকে নিজের জালে ফাঁসায় সতীশ।
কিন্তু দিব্যাও স্বামীর মতলব বুঝে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ২০২১ সালে। ওইসব তোয়াক্কা না করেই সতীশ বাবু ফের বিয়ে করে শ্রী লক্ষ্মী নামে এক তরুণীকে। এই নিয়ে ৫টি বিয়ে করে ফেলে সে।
শ্রী লক্ষ্মী প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে সতীশের আসল রূপ জেনে যান। যখন সতীশ তাঁর কাছেও টাকা চায়। ৮০ লক্ষ টাকা চায় সে।
সতীশ ভয় দেখায় যদি শ্রী লক্ষ্মী ওই টাকা যোগাড় না করে দেন তাহলে তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে। যে ছবি ও ভিডিও শ্রী লক্ষ্মীর কাছে অনুমতি নিয়েই সে তুলেছিল।
শ্রী লক্ষ্মী কিন্তু এই ব্ল্যাকমেলে ভয় না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। দিব্যা, লক্ষ্মী বা শ্রী লক্ষ্মীর অভিযোগ দায়ের হয় অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন থানায়।
পুলিশ তদন্তে নেমে অবশেষে গুন্টুরের বাসিন্দা সতীশ বাবুকে গ্রেফতার করে। প্রতি স্ত্রীকেই এভাবে ব্ল্যাকমেল করা সতীশের আরও কোনও স্ত্রী আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা