দেশের নাগরিক প্রমাণ দিন, ৮৫ বছর বয়সে ফের অগ্নিপরীক্ষার মুখে অসুস্থ বৃদ্ধা
একজন মানুষ যে এই দেশেরই নাগরিক তার প্রমাণ দিতে তাঁকে কতবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? সে প্রশ্ন ফের একবার সামনে এল।
১৯৯৮ সালে তাঁকে ঠিক এই পরিস্থিতির মুখেই পড়তে হয়েছিল। পুলিশের তরফে তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল করতে বলা হয়েছিল। তাঁকে বিদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।
সে সময় তিনি ফরেন ট্রাইব্যুনাল কোর্টের হাজির হন। আদালতে ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে তাঁর বাবার নাম থাকা ভোটার তালিকা পেশ করেন। এছাড়া পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথিও তিনি পেশ করেন।
যা প্রমাণ করে যে তিনি অন্য দেশের নাগরিক নন, তিনি ভারতীয়। ২০০১ সালে অসমের নলবারির ফরেন ট্রাইব্যুনাল কোর্ট ভানুমতী বারোইকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে মান্যতা দেয়। ফরেন ট্রাইব্যুনাল কোর্টের নাগরিকত্বের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ৮৫ বছরের ভানুমতীকে ফের একবার পড়তে হল নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের মুখে।
অসমের বরপেটা জেলার বাসিন্দা ভানুমতী বিয়ের পর চলে আসেন বোকো এলাকার ত্রিলোচন গ্রামে। সেখানেই সংসার। ২ সন্তানের জননী ভানুমতী এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ভাল করে হাঁটতেও পারেননা। দারিদ্র প্রতিদিনের সঙ্গী। তাঁকে ফের একবার দেশের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। সেই মর্মে তাঁর কাছে নোটিসও পৌঁছেছে।
যিনি বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট দিলেন, যাঁর হাতে ফরেন ট্রাইব্যুনাল কোর্টের দেওয়া নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র রয়েছে, সেই বৃদ্ধাকে এভাবে এই বয়সে এসে এখন ভারতীয় হওয়ার নতুন করে প্রমাণ দিতে হবে কেন? এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অল অসম বেঙ্গলি পরিষদের তরফে দাবি করা হয়েছে এনআরসি-র সময় দেশের নাগরিক হিসাবে তালিকায় নাম রয়েছে ভানুমতীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা