বাড়ি ফিরবে কিনা জানে না ছাত্ররা, এভাবেই দিনের পর দিন চলছে স্কুল
ছাত্রদের জীবন নিয়ে কার্যত নির্বিকার মানসিকতা দেখাচ্ছে প্রশাসন। এমনটাই মনে করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থেকে স্থানীয়রা। প্রধান শিক্ষিকা তো মরিয়া হয়ে অন্য পদক্ষেপও করেছেন।
এই প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৩। এই ১১৩ জন ছাত্র প্রতিদিন স্কুলে আসছে। পড়া করছে। ফিরেও যাচ্ছে। আর প্রতিদিন তারা সুস্থ ভাবে ফিরলে হাঁফ ছাড়ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থেকে অন্য শিক্ষকরা।
সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুরুদুরু বুকে অপেক্ষায় থাকছেন বাবা মায়েরাও। কারণটা যে কি তা কার্যত দুনিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন মরিয়া প্রধান শিক্ষিকা। যিনি বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি।
প্রধান শিক্ষিকা জ্যোতি চৌধুরি জানিয়েছেন, তিনি এই স্কুলে ২০১৮ সালে আসেন। তখনও স্কুলের ঘরের হাল বেহাল ছিল। কিন্তু বারবার বলেও তার মেরামতি হয়নি।
এদিকে বছরের পর বছর এমন চলায় এখন কার্যত স্কুলের ক্লাস ঘর এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে যেকোনও মুহুর্তে ঘাড়ে ভেঙে পড়তে পারে।
গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি সেই ছবিকে এতটাই করুণ করে তুলেছে যে ছাত্ররাও ভয় পাচ্ছে এই বুঝি তাদের ওপর ভেঙে পড়ল স্কুলের ছাদ, দেওয়াল। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্কুলটি।
স্কুলে ১১৩ জন ছাত্রের জন্য বরাদ্দ ২টি মাত্র শ্রেণিকক্ষ। সেগুলির যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মুহুর্তে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এই অবস্থায় মরিয়া হয়ে স্কুলের বেহাল দশার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। যা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে অবশ্য কাজ হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন স্কুলটির মেরামতি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তবে শিক্ষিকা থেকে স্থানীয় মানুষ, সকলেই বলছেন, আগে তো হোক। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার সাতেদা প্রাইমারি স্কুলের এই করুণ দশা এখন দেশবাসীর নজরেও এসে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা