নদীর জলে ভাসমান পাথরের ওপর লেখা রাম, রামায়ণের সময়ের পাথর, দাবি স্থানীয়দের
নদীর জলে ভাসতে থাকা একটি প্রস্তরখণ্ড। যার ওপর লেখা রয়েছে রাম। যাকে কেন্দ্র করে কৌতূহল চরমে উঠেছে। স্থানীয়দের অনেকের দাবি ওটা রামায়ণের সময়ের পাথর।
সমুদ্র পার না করলে রাবণের লঙ্কায় পৌঁছনো অসম্ভব। ভগবান রামের পক্ষে সেনা নিয়ে সমুদ্রের জল পার হওয়ার রাস্তা দরকার ছিল। তখন বানরসেনাই পাথর ফেলে সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেয়। সেই রাস্তা ধরে লঙ্কায় হাজির হন রাম, লক্ষ্মণ সহ বানরসেনা।
সেই সময় যে পাথর ফেলে লঙ্কা যাওয়ার পথ তৈরি করা হয়েছিল, সেই পাথরের খোঁজই মিলেছে। এমনটাই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মৌনপুরীর আহিমালপুরের বাসিন্দাদের একাংশের।
তাঁদের বিশ্বাস এই জলে ভাসমান পাথর আসলে রামায়ণের সময়ের। তাই তা আলাদা করে রেখে পুজোর বন্দোবস্ত করা হোক বলেও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার। এখান দিয়ে বয়ে গেছে ঈশান নদী। সেই নদীতেই মাছ ধরার জন্য নেমেছিল কয়েকটি স্থানীয় কিশোর। তারাই প্রথম দেখতে পায় ওই ভাসতে থাকা পাথরটিকে।
তুলে আনার পর দেখা যায় কালো পাথরটির ওপর লেখা রাম। হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। বয়স্করা ধরেই নেন যে এটা সেই রামায়ণের সময়েরই পাথর।
গ্রাম প্রধান নীতীন পাণ্ডে পাথরটি বাড়িতেই যত্ন করে রেখেছেন। তিনি কোনও তত্ত্বে সিলমোহর না দিয়ে জানিয়েছেন তাঁর মতে পাথরটি পরীক্ষা করা দরকার।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন এখনই মুখ খুলতে নারাজ। তাঁরা বিষয়টি সম্বন্ধে পুরো জানার পরই কোনও মন্তব্য করবে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা