বুস্টার ডোজ নিলেই ছোলা বাটোরা ফ্রি
ছোলা বাটোরা বাঙালির বড় প্রিয় খাবার। তেমনই প্রিয় দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষের। তাই এবার বুস্টার ডোজ নিলে ছোলা বাটোরা ফ্রি-এর অফার দিলেন এক বিক্রেতা।
বুস্টার ডোজ যাতে মানুষ নেন সেজন্য সরকারের তরফে তা এখন ফ্রিতে প্রদান করা হচ্ছে। ১৮ বছর বয়সের ওপর সকলকেই এখন বিনা খরচে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ঘোষণা কাজেও লেগেছে। খরচ নেই জেনে এখন অনেকে বুস্টার ডোজ নিচ্ছেনও।
তাও সেই আগ্রহের অভাব রয়েছে। এবার তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে এক সাধারণ ছোলা বাটোরা বিক্রেতা এক দুরন্ত অফার দিয়েছেন। যা প্রধানমন্ত্রীর মুখেও জায়গা করে নিয়েছে।
বাবার মৃত্যুর পর তাঁর আর পড়াশোনা হয়নি। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে তাঁকে বেরিয়ে পড়তে হয় রোজগারের তাগিদে। শুরু করেন সাইকেলে করে ছোলা বাটোরা বিক্রি করা দিয়ে। এখন সেটাই তাঁর ব্যবসা। যা তিনি ১৫ বছর ধরে চালিয়ে আসছেন।
মানুষের রসনা তৃপ্ত করে লভ্যাংশ পকেটে করে বাকিদের মত তিনিও বাড়ি ফিরতে পারতেন। কিন্তু শুধু ছোলা বাটোরা বিক্রি করে রোজগারই নয়, তিনি চান সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করতে। তাই বুস্টার ডোজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে তিনি নিজের সাধ্যের মধ্যে এক অসাধ্য সাধন করেছেন।
তাঁর খোলাখুলি অফার, বুস্টার ডোজ যিনি নেবেন তিনি প্রমাণ দেখালে তাঁর জন্য ছোলা বাটোরা তাঁর দোকানে ফ্রি। অবশ্যই একবারের জন্য।
হিমাচলের ছেলে সঞ্জয় রাণা এখন মধ্যবয়সী এক মানুষ। তিনি চণ্ডীগড়ে তাঁর দোকান চালান। রাণার অফার বুস্টার নিলে তিনি ফ্রিতে তাঁর দোকানের ছোলা বাটোরা খাওয়াবেন। এই অফারে কাজও হয়েছে। রাণা অবশ্য এবারই প্রথম নয়, গত বছরও এই একই অফার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা