৭৮-এর বৃদ্ধকে কেড়ে নিতে গোটা গ্রাম মিলে পেটাল আবগারি দফতরের আধিকারিকদের
আবগারি দফতরের আধিকারিকরা সঙ্গে পুলিশ নিয়েই গ্রামে ঢুকেছিলেন। কিন্তু গ্রামের মহিলারা সমেত গোটা গ্রাম মিলে বেদম প্রহার করল আবগারি দফতরের আধিকারিকদের।
গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর ছিল। সেইমত সবদিক থেকে তৈরি হয়ে সঙ্গে পুলিশ নিয়েই তাঁরা গ্রামে প্রবেশ করেন। পৌঁছে যান অভিযুক্তের বাড়িতে। তারপর সেখান থেকে ৭৮ বছরের বৃদ্ধকে আটক করেন তাঁরা।
ওই ৭৮ বছরের বৃদ্ধকে তাঁরা আটক করে ফিরেও যাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রাম থেকে বার হওয়ার আগেই তাঁদের ঘিরে নেন গ্রামের মানুষজন। ক্রুদ্ধ গ্রামবাসীরা সাফ জানান ওই বৃদ্ধকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁরা তাঁকে এভাবে নিয়ে যেতে দেবেন না। তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে।
কিন্তু সে কথায় কান দেননি আবগারি আধিকারিকরা। সঙ্গে পুলিশ থাকায় হয়তো তাঁরা অনেকটা নিশ্চিন্তও ছিলেন। কিন্তু মারমুখী গ্রামবাসীরা আচমকাই তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় ৭৮ বছরের ওই বৃদ্ধকে নিয়ে টানাহেঁচড়া।
আবগারি আধিকারিকরাও তাঁকে ছাড়বেন না, আর গ্রামবাসীরাও তাঁকে ছাড়িয়েই ছাড়বেন। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা বেদম প্রহার শুরু করেন আবগারি আধিকারিকদের। মার খেতে থাকায় তাঁরা যেই নিজেদের সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখনই বৃদ্ধকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান গ্রামের কয়েকজন।
আবগারি দফতর জানতে পেরেছিল বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার দামোদরপুর গ্রামের ৭৮ বছরের বৃদ্ধ জামুন সিং ওই গ্রামে লুকিয়ে মদ তৈরির কারবার চালাচ্ছেন। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। তায় আবার হালে পরপর বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তাই ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আবগারি আধিকারিকরাই পাল্টা আক্রান্ত হয়ে চোট আঘাত নিয়ে ফিরে এলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা