অধ্যাপককে সপাটে চড়, ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আড়াই মাস কাটাল বিশ্ববিদ্যালয়
সকলের সামনে এক অধ্যাপককে সপাটে চড় কষাল এক ছাত্র। তারপরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কি সংকোচে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়? হস্তক্ষেপ করতে হল আদালতকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সামনে এক এমএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এসে এক অধ্যাপককে সকলের সামনে সপাটে চড় কষিয়েছিল। সে ঘটনা ঘটে গত ১৮ মে। এমন এক ঘটনার পর কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি এরপর আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানতে চায় এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? আদালতের চাপের মুখে অবশেষে ঘটনার আড়াই মাস কেটে যাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এও জানানো হয়েছে যে ওই ছাত্র যাতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কোনও কলেজে পরবর্তীকালে জায়গা না পায় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
পদক্ষেপ অবশেষে করলেও বিতর্ক কিন্তু থামছে না। প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এতদিন পদক্ষেপ করায় এত সংকোচ ছিল কেন তা নিয়ে। কোথায় আটকাচ্ছিল তাদের? সে প্রশ্নও উঠছে।
ঘটনার সূত্রপাত কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানব্যাপী বিতর্ককে কেন্দ্র করে। এই বিষয়ে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক রবিকান্ত চন্দন তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। যা মেনে নিতে পারেননি ছাত্রদের একাংশ।
তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখান। তাঁকে ঘেরাও করেন। এমনকি রবিকান্ত চন্দনের দাবি, তাঁকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।
গত ১৮ মে সংস্কৃতে এমএ-র প্রথম বর্ষের ছাত্র কার্তিক পাণ্ডে কলা বিভাগের সামনে অধ্যাপক রবিকান্ত চন্দনকে সপাটে চড় কষিয়ে দেয়। যা অনেকেরই সামনে ঘটে।
তারপরে এতদিন কেটে গেলেও এমন অপরাধের কোনও শাস্তিই কার্তিককে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে অনেকটা দেরি হলেও শেষপর্যন্ত ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষেপ করায় খুশি রবিকান্ত চন্দন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা