৮০ বছরের মায়ের হাতে সিমহীন মোবাইল ধরিয়ে মন্দিরে ফেলে পালাল ছেলে
এমন সন্তানও হয়! ৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে মন্দিরে ছেড়ে এক গুচ্ছ মিথ্যা বলে পালাল ছেলে। মা তখনও তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করলেন।
এমন সন্তান যেন কারও না হয়। এমনই বলছেন মন্দিরে ওই বৃদ্ধাকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা মানুষজন। একটি মন্দিরের সামনে এক বৃদ্ধাকে বুধবার দেখতে পান মন্দিরে আগত ভক্ত এবং আশপাশের মানুষজন। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও রাতেও যখন ওই বৃদ্ধাকে তাঁরা একই জায়গায় বসে থাকতে দেখেন তখন তাঁদের সন্দেহ হয়।
সকলে ওই ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন তিনি কেন বসে আছেন? বৃদ্ধা জানান তাঁর ছেলে তাঁকে এই মন্দিরে নিয়ে এসেছে। তাঁকে এখানে বসতে বলে গেছে। বলেছে এখুনি চলে আসবে। তাঁকে একটা মোবাইল ফোনও দিয়ে গেছে। দেরি হলে ওই ফোনে ফোন করবে সে।
তাছাড়া একটি কাগজও হাতে দিয়ে গেছে। ওই কাগজে ছেলে তার ফোন নম্বর লিখে গেছে। বলেছে কোনও দরকার হলে ওই মোবাইল থেকে তাকে ওই নম্বরে ফোন করতে। বৃদ্ধা শুধু বুঝতে পারছিলেন না এখনও ছেলে এল না কেন!
ভক্ত এবং আশপাশের মানুষজন এরপর ওই ফোন এবং কাগজ পরীক্ষা করতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান। দেখা যায় বৃদ্ধাকে যে ফোনটি দিয়ে গেছে তাঁর ছেলে তা একটি বেসিক ফোন। যার মধ্যে কোনও সিম কার্ডই নেই!
আর যে কাগজে তার নম্বর লেখা আছে বলে বৃদ্ধার হাতে ধরিয়ে দিয়ে যায়, সেই কাগজে একটা পেনের আঁচড়ও নেই। একদম সাদা পাতা।
কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ছেলে একগুচ্ছ মিথ্যা বলে মাকে এই মন্দিরে ফেলে পালিয়েছে। ৮০ বছরের বৃদ্ধার দায়িত্ব সে আর নিতে রাজি নয়।
বৃদ্ধা নিজের গ্রামের নাম বলতে পারলেও তিনি যে গ্রামের কথা বলছেন সেখানে তাঁর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। আপাতত বয়স্কদের একটি সেন্টারে তাঁর স্থান হয়েছে।
পুলিশ তদন্তে নেমে তাঁর ছেলেকে খুঁজছে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কোপ্পাল এলাকার হুলিগি গ্রামের হুলিজেম্মা মন্দিরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা