কোচিং ক্লাসের পর ছাত্রীকে মদ্যপান করতে বাধ্য করলেন শিক্ষক
কোচিং শেষ হওয়ার পর অন্য ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বলেন শিক্ষক। পরে তাকে মদ্যপান করান তিনি।
কোচিংয়ে তো অনেক ছাত্রছাত্রীই পড়তে যায়। স্কুলের বাইরে কোচিং করানোর একটা প্রবণতা অনেকদিন আগে থেকেই চালু আছে। পরীক্ষায় ভাল ফল করতে অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলের পড়ানো ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে দখল তৈরি করতে কোচিংয়ের ওপর ভরসা রাখেন।
তেমনই একটি কোচিংয়ে গত বুধবার পড়তে গিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। সন্ধের পর কোচিং ক্লাস শেষ হলে ছাত্রছাত্রীরা যে যার মত বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু এদের মধ্যে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বলেন শিক্ষক।
স্যার দাঁড়াতে বলায় অপেক্ষা করে ছাত্রী। অভিযোগ কোচিং ফাঁকা হওয়ার পর ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ডেকে নেন। তারপর তাকে মদ্যপান করতে বলেন।
ছাত্রীটি রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করেই মদ্যপান করতে বাধ্য করেন শিক্ষক। এক সময় মদ্যপানের ফলে কিছুটা অচেতন হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তখন তাকে তার বাড়িতে পৌঁছে আসে ওই শিক্ষক।
পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে জ্ঞান ফেরার পর এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে বয়ান দিতে গিয়ে ওই ছাত্রী জানায় তাকে জোর করে মদ্যপান করানোর পুরো ঘটনা।
পুরো ঘটনা জানার পর পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভদোদরার নিজামপুরা এলাকায়।
প্রসঙ্গত গুজরাটের রাজকোটে এক ২ বছরের শিশুকে বাড়িওয়ালা মদ্যপান করাচ্ছে এটা দেখতে পেয়ে অভিভাবকরা শিশুটিকে বাড়িওয়ালার হাত থেকে নিয়ে নেন। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা