জলের তলায় চলে গেল ৫০ টাকার নোটে থাকা স্মারকস্থলের সিংহভাগ
প্রবল বর্ষণে হুহু করে বাড়ছে জল। সেই জল বিভিন্ন জলাধারেও বাড়ছে। ফলে সেখান থেকে জল ছাড়তে হচ্ছে। তারই জের গিয়ে পড়ল ৫০ টাকার নোটে থাকা স্মারকস্থলে।
বৃষ্টি এতটাই হচ্ছে যে তুঙ্গভদ্রা নদীর জল হুহু করে বাড়ছে। নদীর জলের এই ফুলে ফেঁপে ওঠার প্রভাব গিয়ে পড়েছে এই নদীর ওপর থাকা বাঁধ গুলিতেও। সেখানে জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাচ্ছে।
আর ড্যামের ক্ষেত্রে এমন হওয়া মানে দ্রুত জল ছাড়তে বাধ্য হওয়া। নাহলে ড্যাম ভেঙে যেতে পারে। এভাবেই তুঙ্গভদ্রার জল ড্যাম থেকে ছাড়া হয়েছে। ছাড়া হয়েছে ১.১০ লক্ষ কিউসেক। যার প্রভাবে তার আশপাশে থাকা এলাকা জলের তলায় চলে গেছে।
কর্ণাটকের বিজয়নগর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুঙ্গভদ্রার এই ড্যাম থেকে ছাড়া জল গিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে এখানকার বিশ্বখ্যাত ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পাওয়া হাম্পির সিংহভাগ।
ভারতে যে নতুন ৫০ টাকার নোট রয়েছে তার পিছনে রয়েছে এই হাম্পির ছবি। হাম্পি আসলে একটি প্রাচীন গ্রাম। যেখানে রয়েছে একাধিক মন্দির। অনেকগুলি মন্দিরের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট।
সেখানকার পুরন্দর দাস মণ্ডপ, শালু মণ্ডপ এবং ধার্মিক বিধি বিধান মণ্ডপ নামে ৩টি মন্দিরের এখন বানভাসি দশা। হাম্পি কর্ণাটকের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। ফলে সেখানে দেশি বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে।
তেমন একটি স্থান এভাবে জলের তলায় চলে যাওয়ায় সমস্যা পড়েছে এখানকার কর্তৃপক্ষও। এদিকে বৃষ্টি যেভাবে চলছে তাতে আরও জলও ছাড়তে হতে পারে তুঙ্গভদ্রার ড্যাম থেকে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা