তাঁর গোপন অঙ্গে বারবার হাত চিকিৎসকের, অন্য তরুণীর ঝগড়ায় সজাগ হলেন মহিলা
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ফুসফুসের চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন তিনি। ছাড়া পেল না চিকিৎসকও।
ঘটনাটি বছর ছয়েক আগের। ওই মহিলার শ্বাসের সমস্যা হচ্ছিল। সকলের পরামর্শে তিনি গিয়েছিলেন এক পালমোনোলজিস্ট বা সহজ কথায় ফুসফুসের চিকিৎসকের কাছে। চেম্বারে প্রবেশ করার পর চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা শুরু করে।
ওই মহিলার দাবি, তখন ওই চিকিৎসক তাঁর ফুসফুসের অবস্থা দেখতে বারবার তাঁর গোপন অঙ্গে হাত দিতে শুরু করে। হয়তো এটাই চিকিৎসা পদ্ধতি। এমনটা ভেবে অস্বস্তি সহ্য করেও সেদিনকার মত বাড়ি আসেন ওই মহিলা।
এদিকে চিকিৎসক তাঁকে কয়েকদিন পর ফের চেকআপে যেতে বলে। সেদিন যাওয়ার পর ফের পরীক্ষা শুরু হয় বুকের। আর সেইসঙ্গে শুরু হয় অন্যায়ভাবে তাঁর গোপন অঙ্গে হাত দেওয়া।
এদিনও তিনি চিকিৎসকের লাগাতার অন্যায় স্পর্শ সহ্য করে বাড়ি ফিরে যান। তারপর ফের তৃতীয় দিন যখন চিকিৎসকের কাছে আসেন তখন দেখেন এক তরুণী ঝগড়া জুড়ে দিয়েছেন।
তরুণী চিকিৎসককে প্রশ্ন করতে থাকেন এটা কি চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে? এভাবে তিনি তাঁর গোপন অঙ্গে যথেচ্ছ হাত দিচ্ছেন কেন? ওই তরুণীকে ঝগড়া করতে দেখে এবার ওই মহিলার কাছে সব স্পষ্ট হয়ে যায়।
ফুসফুসের পরিস্থিতি বোঝার নামে যে ওই চিকিৎসক মহিলা রোগীদের গোপন অঙ্গে এভাবে হাত দিতেই থাকে তা স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর কাছে। তিনি চিকিৎসককে না দেখিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন।
সব শোনার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর স্বামী সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায় একাধিক মহিলা ওই চিকিৎসকের এমন আচরণের শিকার। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। পরে জামিনে মুক্তিও পায় সে।
অবশেষে তার বিচারপর্ব শেষ হল। তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হায়দরাবাদের আদালত। এভাবে মহিলাদের শ্লীলতাহানির দায়ে তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। ঘটনাটি ঘটে সেকেন্দ্রাবাদে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা