চুরির নেশায় ইতিহাস গড়ে ২২ বছর পার, ৫০ ছোঁয়ার আগে পাকড়াও
চুরির নেশা যে ইতিহাসও গড়ে দিতে পারে তা দেখিয়ে দিল এক যুবক। চুরি তার কেবল পেশা নয়, নেশা। পুলিশ মনে করছে চুরি না করে থাকতে পারে না সে।
মানুষের কতই না অভ্যাস থাকে। চুরিও তার একটা। এক যুবক তো সেই চুরিকে কার্যত তার হাতযশে পরিণত করে ফেলেছিল। ৮ বছর বয়স থেকে চুরি শুরু করে সে। নিখুঁতভাবে চুরি করায় তার জুড়ি ছিলনা। সুযোগ হাতে এলে ছাড়ত না সে।
২২ বছরে কয়েকবার ধরাও পড়েছে। তবে চুরি করা থামায়নি। তার খাতায় কলমে চুরির সংখ্যা ৪৭। সবে জেল থেকে বার হয়েই সে ফের একটি চুরি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের প্রখর বুদ্ধির সামনে তার সব জারিজুরি ধরা পড়ে যায়।
দিল্লির হনুমান মন্দিরের সামনে রাতের অন্ধকারে এক ব্যক্তির মোবাইল চুরি করে পালায় সে। পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা শুরু করে।
২৫টা ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হলেও রাতের অন্ধকারে কোনও ক্যামেরাতেই স্পষ্ট ছবি আসেনি। ফলে যে ব্যক্তি চুরি করছে তার চেহারা পরিস্কার করে বোঝা যায়নি।
অগত্যা পুলিশ তার খবরিদের কাজে লাগায়। এলাকায় যারা পুলিশকে গোপনে খবর দেয় তাদের কাছ থেকেই এই ৩০ বছর বয়স্ক যুবকের কথা জানতে পারে পুলিশ। আর অপেক্ষা না করে হনুমান মন্দিরের কাছের একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা ভিকি সিং ওরফে লোকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্বভাব চোর লোকেশ এখন জেলে। তবে ফের জেল থেকে বেরিয়ে সে চুরি করবে না তো! সে প্রশ্নের উত্তর বোধহয় পুলিশের কাছেও নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা