মুখে থাকা চাল লাল হতেই পরিচারিকার সব পোশাক খুলে নিল বাড়ির লোক
সোনার গয়না হারানোকে চুরি বলেই মনে করছিল পরিবার। ওঝার পরামর্শে সব সন্দেহ গিয়ে পড়ে পরিচারিকার ওপর। এরপর গয়না পেতে খুলে নেওয়া হয় পরিচারিকার সব পোশাক।
পরিবারে গয়না বা কোনও দামি জিনিস চুরি গেলে প্রথম সন্দেহ গিয়ে পড়ে পরিচারিকার ওপর। এক্ষেত্রে অবশ্য হয়েছিল একটু অন্যরকম।
ওই পরিবারে একাধিক পরিচারক, পরিচারিকা রয়েছেন। গয়না চুরি যাওয়ার পর পরিবারের তরফে এক ওঝাকে ডেকে পাঠানো হয়। ওই ওঝা এসে চাল ও চকের গুঁড়ো সকলের হাতে দিয়ে তা মুখে রাখতে বলে।
পরিবারকে জানায় যার মুখে ওই চাল ও চকের গুঁড়ো লাল রংয়ের হয়ে যাবে সেই চোর। দেখা যায় বাড়ির ৪৩ বছরের এক পরিচারিকার মুখে চাল লাল হয়ে গেছে। এরপরই তাঁকে হাত পা বেঁধে একটি ঘরে বন্ধ করে দেয় বাড়ির লোকজন।
সারা রাত ওভাবেই রাখার পর সকালে বাড়ির ৪ মহিলা ওই ঘরে হাজির হয়। তারপর এক এক করে তারা ওই মহিলার দেহ থেকে সব পোশাক খুলে নেয়। জিজ্ঞেস করতে থাকে গয়না কোথায়? শুরু হয় রুটি বেলার বেলুন ও চটি দিয়ে মার।
তাঁকে ওই পোশাকহীন অবস্থায় তাঁর থাকার ঘরে নিয়ে গিয়ে খোঁজ শুরু হয়। সেখানে কিছু না পাওয়া গেলেও ওই মহিলা একটি ইঁদুর মারার বিষ হাতে পেয়ে যান। মহিলার দাবি, লজ্জায় তিনি স্থির করেন নিজেকে শেষ করে দেবেন। সেইমত তিনি ওই বিষ খেয়ে নেন।
তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে বাড়ির অন্য পরিচারকরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁর পেট থেকে বিষ বার করে দেন।
পুলিশকে এরপর সব খুলে বলেন দক্ষিণ দিল্লির একটি পরিবারে কর্মরত ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা