National

দুধের চাহিদা মেটাতে গরুর শরীরে প্রবেশ করবে ষাঁড়ের বীর্যের অন্য রূপ

গরুর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর সুষম আহার। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাই গরুর দুধের যোগান বাড়াতে এবার সরকারিভাবে এক অন্য পদ্ধতির পথে হাঁটা শুরু।

ষাঁড়ের বীর্য গরুর ডিম্বাণুর সঙ্গে স্বাভাবিক সঙ্গমের নিয়মে মিশলে স্ত্রী ও পুরুষ ২ শাবকই জন্ম নেয়। আর তার মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকে। কিন্তু সেখানেই হচ্ছে সমস্যা। গোপালকরা ষাঁড় সামাল দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। আবার গরুর সংখ্যা স্বাভাবিক হওয়ায় তার থেকে যা দুধ পাওয়ার তাই পাওয়া যাচ্ছে।

এই ২ সমস্যাকে এক ঢিলে শেষ করতে এবার ষাঁড়ের বীর্য সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। ষাঁড়ের বীর্য গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে তার এক্স এবং ওয়াই ক্রোমোজোম আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এবার কেবলমাত্র এক্স ক্রোমোজোম বীর্যে রেখে ওয়াই ক্রোমোজোম ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তারপর সেই বীর্য প্রবেশ করানো হচ্ছে গরুর শরীরে।


এতে গরুর ডিম্বাণুতে থাকা কেবল এক্স ক্রোমোজোমের সঙ্গে ষাঁড়ের এক্স ক্রোমোজোম মিশে যে ভ্রূণ গরুর শরীরে সৃষ্টি হবে তা ৯০ শতাংশই স্ত্রী ভ্রূণ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এই পদ্ধতি অবলম্বন করে গরুর সংখ্যা অনেক বাড়ানো সম্ভব। আর তাতে গরুর দুধের সমস্যাও মিটবে, আবার অতিরিক্ত ষাঁড় সামাল দেওয়ার ঝক্কিও সামলাতে হবে না গোপালকদের।


হিমাচল প্রদেশ সরকার এই বিশেষ পদ্ধতিতে গরুর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোড় দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এভাবে বিশেষ পদ্ধতিতে কেবল এক্স ক্রোমোজোম থাকা ষাঁড়ের বীর্যের ২০ হাজার ডোজ কিনে ফেলেছে সরকার। যা সেপ্টেম্বর মাস থেকে গরুর দেহে প্রবেশ করানো শুরু হবে।

মনে করা হচ্ছে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লক্ষ গরু জন্ম নেবে। যা দুধের যোগান অনেকটাই মেটাতে সাহায্য করবে।

রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের আওতায় নেওয়া এই বিশেষ উদ্যোগে হিমাচল সরকার এক একটি ডোজ কিনছে ৬৭৫ টাকায়। তবে তা গোপালকদের কাছে বিক্রি করছে ১২৫ টাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button