এতদিন শুধু অভিযোগই শুনেছেন, এবার বাঁদরের শিকার খোদ জেলাশাসক
অভিযোগের পর অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কিছুই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের ক্ষোভ। এবার জেলার সেই প্রশাসনিক প্রধানই বাঁদরের হাতে নাস্তানাবুদ।
বাঁদররা যখন তখন খাবারের প্যাকেট ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। টাকার ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। চোখ থেকে চশমা খুলে নিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমন নানা অভিযোগ দিনের পর দিন সামনে আসছিল।
বাঁদররা খাবারের প্যাকেট খুলে খাবার খেয়ে নেয়। টাকার ব্যাগ নিয়ে উঁচু কোথাও পালিয়ে গিয়ে টাকা বার করে তা ছিঁড়ে উড়িয়ে দেয়। মোবাইল কেড়ে নিয়ে গিয়ে আছড়ে ভেঙে দেয়। কিছু ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের খাবার কিনে দিলে আবার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া জিনিস অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়েও দেয়।
এসব নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমলেও বাঁদরদের হাত থেকে মানুষের এই ক্ষতি রক্ষার কোনও ব্যবস্থা প্রশাসন করেনি বলে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। এবার খোদ জেলা প্রশাসনের প্রধানই বাঁদরদের শিকার হলেন।
মথুরা ও বৃন্দাবনে এই বাঁদরের সমস্যায় সেখানকার সাধারণ মানুষ জর্জরিত। হালে জেলাশাসক গিয়েছিলেন বৃন্দাবনে। সেখানে গাড়ি থেকে নামার পর আচমকা তাঁর চশমা খুলে নিয়ে পালিয়ে যায় একটি বাঁদর।
জেলা শাসকের চশমা বলে কথা! দ্রুত সব আধিকারিক থেকে পুলিশ ছোটে চশমা ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু বাঁদররা একটি উঁচু বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে।
চশমা কিছুতেই দেবেনা। চশমা ফেরাতে খাবারের অফার থেকে সবই চলতে থাকে। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর চশমা ফেরত পান জেলাশাসক। স্থানীয়রা অবশ্য এই ঘটনার পর আশা করছেন এবার হয়তো একটা সুরাহা কিছু হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা