হরিয়ানার বিজেপি সভাপতি সুভাষ বারালার ছেলে বিকাশ বারালা ও বিকাশের এক বন্ধু তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অনুসরণ করে। তারপর এক জায়গায় তাঁর গাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাস্তা আটকায়। গাড়ি থেকে নেমে বিকাশ ও তার বন্ধু তাঁকে অপহরণের চেষ্টাও করে। কিন্তু কোনওক্রমে সেখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে পালাতে সক্ষম হন তিনি। যেতে যেতেই খবর দেন পুলিশকে। হরিয়ানায় কর্মরত এক আমলার মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডুর এই ফেসবুক পোস্টে সরগরম রাজনৈতিক মহল।
বছর ২৯-এর বর্ণিকার দাবি গত শুক্রবার রাতে তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। যদিও চণ্ডীগড় পুলিশের তৎপরতায় তিনি খুশি বলেই জানিয়েছেন বর্ণিকা। পুলিশ ২ অভিযুক্তকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অনুসরণ ও মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ধারা দিয়ে জামিন দেওয়া হয়। যেখানে অপহরণের চেষ্টা জামিনযোগ্য অভিযোগ নয়। তবে কী বিজেপি নেতার ছেলে বলেই এই সুবিধা হল? প্রশ্ন তুলেছে তারা।
ঘটনাটি ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজার জায়গায় পৌঁছেছে। বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে কসুর করছে না। পিছিয়ে নেই সিপিএমও। সিপিএমের প্রশ্ন এখন কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চুপ করে আছেন?
এদিকে যাকে নিয়ে এতকিছু, সেই বিকাশ বারালার পিতা বিজেপি সভাপতি সুভাষ বারালাকে কার্যত খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিজে অন্তরালে চলে গেলেও তাঁর ডেপুটি রামবীর ভাট্টি পাল্টা গোটা ঘটনার দায় মহিলাদের অভিভাবকদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, গভীর রাতে মেয়েরা একা বার হয়ই বা কেন? এটা তাঁদের বাবা-মায়ের দেখা উচিত, যাতে তাঁরা রাতের আগেই বাড়ি ফেরেন। বিজেপি নেতার এই বেফাঁস বক্তব্য এবার নতুন এক সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।