হাত মেলাল আধ্যাত্মিক জগত ও উন্নত প্রযুক্তি, চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাল অমৃতা
দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক জগতের ছোঁয়া নতুন নয়। তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো অবশ্যই নতুন। যেখানে হাত মেলাল আধ্যাত্মিক জগত ও উন্নত প্রযুক্তি।
১৩০ একর জমি। বোঝাই যাচ্ছে এই বিপুল পরিমাণ জমিতে কত কিছু জন্ম নিতে পারে। সেই জমিতে এবার জন্ম নিল একটি হাসপাতাল। তবে এ হাসপাতালকে এক কথায় নতুন হাসপাতাল বলে ছেড়ে দিলে চলবে না। এ হাসপাতালের জন্ম হল আধ্যাত্মিক জগত ও উন্নত আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে।
আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে যুক্ত মা অমৃতানন্দময়ী মঠ এই হাসপাতাল তৈরির অন্যতম প্রেরণা। এই মঠের সাহায্যে ও সমর্থনে আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই হাসপাতাল নির্মাণে। যেখানে থাকছে একাধিক বাড়ি।
মূল হাসপাতালটি ৩৬ লক্ষ বর্গফুটের। ১৪ তলা ভবনটিতে থাকছে সব ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্ত। এমনকি মেডিক্যাল এমারজেন্সিতে যদি কাউকে এয়ারলিফ্টও করা হয়, তাহলে রোগী এসে নামবেন একদম হাসপাতালের ছাদে। সেখানে রয়েছে হেলিপ্যাড।
দিল্লি মথুরা সড়কের ওপর ফরিদাবাদের এই অমৃতা হাসপাতাল ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হিসাবে সামনে এল। যেখানে হাসপাতাল ভবন ছাড়াও থাকছে একটি রিসার্চ সেন্টার। থাকছে ওপিডি, ল্যাবরেটরি। সবই তৈরি করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি মেনে।
২ হাজার ৬০০ শয্যার এই হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপাতত ৫০০ বেড দিয়ে উদ্বোধন। ধাপে ধাপে লক্ষ্য পূরণ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৬ বছরের চেষ্টায় এই হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। যা এমনই এক আশ্চর্য হিসাবে সামনে এসেছে যে অনেকে এই হাসপাতাল দেখতেও আসতে পারেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা