মহিলার নাক থেকে বার হল ১৫০টি সবে জন্মানো মাছি
নাকের মধ্যে মাছির বাসা, শুনলেই অনেকের গা ঘিনঘিন করে উঠতে পারে। কিন্তু এটাই হয়েছে। আর তা বার করতে চিকিৎসকদের কালঘাম ছুটে গেছে।
এ সমস্যার সূত্রপাত ৬ মাস আগে। তখন করোনা সংক্রমণের শিকার হন এক মহিলা। যে রোগের হাত ধরে বিরল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শরীরে বাসা বাঁধে। যা গিয়ে মহিলার মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে থাকে।
এতটাই প্রভাব ফেলে যে তাঁর একটা চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সেটি ফেলে দিতে হয়। সেখানেই ভোগান্তির শেষ নয়। এরপর নাকে শুরু হয় সমস্যা।
মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত মহিলাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাঁর নাকে নানা পরীক্ষা চালানোর পর যে খোঁজ পান তাতে তাঁরাও হতবাক হয়ে যান।
ওই মহিলার নাকের মধ্যে অনেক মাছির শূককীটের খোঁজ পান তাঁরা। অগত্যা স্থির হয় সেগুলিকে বার করতে হবে। শুরু হয় অপারেশন। আর তা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা কার্যত মাছির শূককীট বার করতে করতে হিমসিম খেয়ে যান।
বেরিয়ে চলেছে তো চলেছেই। এমন করে ১৫০টি শূককীট বার করে আনা হয় মহিলার নাক থেকে। যা কার্যত এক বিরল সাফল্য।
এগুলি বার করে দেওয়ার পর এখন অবশ্য তিনি অনেকটা ভাল আছেন। মাছি কীভাবে সেখানে ডিম পাড়ল তা ভেবেই অনেকে কুল কিনারা পাচ্ছেন না।
এই বিরল ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। বছর ৫০-এর ওই মহিলা গুন্টুর জেলার বাসিন্দা। তাঁকে হায়দরাবাদে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। হায়দরাবাদের সেঞ্চুরি হাসপাতালে ওই মহিলার নাক থেকে মাছির শূককীট বার করে আনা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা