ঘরানার জন্য মাত্র ৩ সপ্তাহে ৫ লক্ষ টাকা তুলল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র
৩ সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই সে তুলে ফেলল ৫ লক্ষ টাকা। ক্রাউড ফান্ডিং যে এত দ্রুত তাকে লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে তা নিজেও ভাবেনি ওই ছাত্র।
এর মাঝে একদিন তার বাবার অফিসে গিয়েছিল সে। সেখানে সে দেখে যে একটা অফিস ঘর রয়েছে। তবে তা ইট, সিমেন্টের দেওয়াল গেঁথে তৈরি নয়। বরং জাহাজে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বৃহদাকার আয়তক্ষেত্রের মত কন্টেনার ব্যাবহার হয় সেটাই এখানে অচিরে হয়ে উঠেছে অফিস ঘর।
সেটা দেখেই তার প্রথম ঘরানা-র আইডিয়া মাথায় খেলে যায়। ১৭ বছরের কিশোর আরব এবার একটি শিপিং কন্টেনারকে সাজিয়ে তোলে। যা দেখে একটি সুন্দর একতলা বাড়ির মত দেখতে লাগে। তার ছাদও সুন্দর করে সাজানো। যা সে তৈরি করে গৃহহীনদের জন্য।
গৃহহীনরা যাতে মাথার ওপর ছাদ পান সেজন্য জাহাজের কন্টেনারকেই নানাভাবে সাজিয়ে তৈরি হয় এই একতলা বাড়িগুলি। আরব স্থির করে এভাবে সে ১০০টি নষ্ট হওয়া কন্টেনারকে পরপর সাজিয়ে বাড়ির রূপ দেবে। যা মাথার ওপর ছাদ না থাকা মানুষগুলোকে রোদ, জল, বৃষ্টি থেকে বাঁচাবে।
এই প্রকল্পের সে নাম দেয় প্রজেক্ট ঘরানা। কিন্তু তার এই ১০০ বাড়ির স্বপ্নকে সফল করতে টাকার দরকার। আরব তার ভাবনার কথা জানিয়ে চেনা পরিচিতদের থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। অনেকেই তার এই মর্মস্পর্শী চিন্তা ও অভিনব ভাবনার পাশে দাঁড়ান।
মাত্র ৩ সপ্তাহের চেষ্টায় তার হাতে চলে আসে ৫ লক্ষ টাকা। যা দিয়ে সে ১০০টি বাড়ি বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এই ১০০টি কন্টেনার বাড়িতে ৫০০ গৃহহীনের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে।
জয়পুরের স্কুল ছাত্র আরব গান্ধী চাইছে তার এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে। যাতে দেশের যথাসম্ভব গৃহহীনকে ছাদ দেওয়া সম্ভব হয়। তার এই ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরব এবার পার্টনার চাইছে। যাতে তার অর্থের যোগান ঠিক থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা