একমাত্র পাঁপড়ের জন্য তছনছ হয়ে গেল সাজানো বিয়ের আসর
কাঠগড়ায় যদি চাপাতেই হয় তাহলে পাঁপড়কেই চাপাতে হয়। কারণ এক পাঁপড়কে সামনে রেখেই একটা সুন্দর সাজানো বিয়ের আসর রণভূমির চেহারা নিল।
বিয়ের আসর সেজে উঠেছিল সুন্দর সাজে। বিরাট একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল বিয়েতে আসা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। সেখানেই বিয়ের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। আর অন্যদিকে হয়েছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।
বিয়ের দিনটা সকলেই মনে রাখার মত করে সাজিয়ে তুলতে চান। স্মৃতি হিসাবে সারা জীবন মনে রাখতে চান। এ বিয়েও মনে থেকে যাবে। তবে সুখস্মৃতি নিয়ে নয়। কারণ একমাত্র পাঁপড়।
বিয়েতে বরযাত্রীরা তখন খেতে বসেছেন। তাঁদের যত্নআত্তিতে যাতে ত্রুটি না হয় সেদিকেও নজর রাখছিল কনেপক্ষ। বরযাত্রীদের কয়েকজন যাঁরা পরিবেশন করছিলেন তাঁদের কাছে পাঁপড় চান। দেওয়া হলে তাঁরা আরও চাইতে থাকেন।
এভাবে পাঁপড় দিয়ে যেতে একসময় অস্বীকার করেন ক্যাটারার। বরযাত্রীদের এভাবে পাঁপড় চাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। দ্রুত তা ঝগড়ার চেহারা নেয়। তারপর শুরু হয় ক্যাটারারের ছেলেদের সঙ্গে বরযাত্রীর হাতাহাতি।
যথেচ্ছ ঘুষি, লাথি চলতে থাকে। একে অপরকে মারার জন্য সামনে থাকা পরিবেশনের বালতি, হাতা, খুন্তি, চেয়ার সবই কাজে লাগতে থাকে। টেবিল উল্টে দেওয়া হয়। খাবার তছনছ করে দেওয়া হয়। তুলকালাম চলে বেশ কিছুক্ষণ।
মারামারি থামাতে এসে ওই রিসেপশন হলের মালিক ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ২ তরুণও আহত হন।
এছাড়া টুকটাক আঘাত লাগে অনেকের। পুরো ঘটনায় কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয় বিয়ের আসর। ঘটনাটি ঘটে কেরালার আলাপ্পুঝা শহরে।