জেলেই পাওয়া যাচ্ছে ফাইভ স্টার খানা, খাবার সময় হলেই জিভে জল আসে বন্দিদের
কথায় বলে জেলের খাবার। এ প্রবাদের উৎস হল জেলের খাবার এতটাই অখাদ্য যে মুখে তোলা দায়। কিন্তু সেই জেলের খাবারই এখন ফাইভ স্টার সম্মান পাচ্ছে।
জেলের খাবার সুখাদ্য নয় বলেই পরিচিত। বিস্বাদ খাবারই খেয়ে থাকতে হয় বন্দিদের। এটা তাদেরও মেনে নিতে হয়েছে। কিন্তু সেই জেলের খাবার যে জিভে জল এনে দিতে পারে তা বোধহয় কেউ বিশ্বাস করতে চাইবেন না।
শুধু জিভে জল আনা নয়, স্বাস্থ্যকরও বটে। ফলে জেলে বন্দিদের খাবার সময় হলেই জিভে জল চলে আসে। এমনটাই হচ্ছে ভারতের একটি জেলে।
যেখানে খাবারের মান এতটাই ভাল যে তা খোদ ফাসাই-এর গুণগত মানের বিচারে ৫ তারা তকমা পেয়েছে। আর এতটা সুখাদ্য হওয়ার পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার ফতেগড় সেন্ট্রাল জেলে বন্দির সংখ্যা ১ হাজার ১০০ জনের মত। এখানে বন্দিদের খাবার নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক জেল কর্তৃপক্ষ। বন্দিদের সুস্থ জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে রীতিমত ক্লাস করানো হয়।
এই জেলে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় রুটি তৈরির যন্ত্র। যা একসঙ্গে অনেকগুলি রুটি তৈরি করতে সক্ষম। রয়েছে আটা মাখার মেশিনও। ফলে হাত না ছুঁইয়ে এখানে সহস্র বন্দির জন্য আটা মাখা হয়ে যায়। আর তাতে কারও পরিশ্রমও হয়না।
এছাড়া রান্নার জন্য যে আনাজ কাটা হয় তাও কেউ হাত দিয়ে কাটে না। কাটা হয় যন্ত্রে। যন্ত্রে আনাজ কাটার পর তা ভাল করে ধুয়ে তবেই রান্নায় দেওয়া হয়। জোর দেওয়া হয় রান্নাঘর পরিস্কার রাখার ওপর। যাতে কোনওভাবে খাবার অস্বাস্থ্যকর হয়ে না যায় সেদিকে কঠোর নজর রাখা হয়। সেইসঙ্গে খাবারের স্বাদও যাতে সুন্দর হয় সেদিকটাও দেখা হয়।
এই পুরো ব্যবস্থায় বন্দিরাও এতটাই খুশি যে তারাও রান্না ও পরিবেশনের সব নিয়ম মেনে চলে। হালে ফাসাই এই জেলের খাবার ও তার গুণগত মান পরীক্ষা করার পর এই জেলের খাবারকে ৫ তারা তকমা দিয়েছে। এই একটি জেলের হাত ধরে হয়তো আগামী দিনে দেশের সব জেল নতুন দিশা পাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা