ইলেকট্রনিক জিনিস দিয়ে তৈরি গণেশমূর্তি, দেখেই রাগে ফেটে পড়লেন নেতা
বাড়িতে দৈনন্দিন কাজে লাগে এমন সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র। সেসব দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল একটি গণেশমূর্তি। যা দেখে রেগে আগুন হয়ে গেলেন এক নেতা।
পোশাক ইস্ত্রি করার আয়রন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার সহ এমন নানা ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস। সেসব দিয়েই নতুন ভাবনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল একটি গণেশমূর্তি। তারপর তার স্থান হয়েছিল একটি শোরুমে।
ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের শোরুমের সঙ্গে মূর্তির ভাবনা খাপ খাচ্ছিল। যেমন গণেশ মূর্তির শুঁড়টি তৈরি করা হয়েছিল ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের পাইপ কাজে লাগিয়ে।
আবার হাত বা পায়ের পাতা করা হয়েছিল কাপড় ইস্ত্রির আয়রন দিয়ে। আবার মিক্সার দিয়ে শরীরের অন্য অংশ। এমনভাবে নানা ইলেকট্রনিক জিনিসকে কাজে লাগিয়ে একটি গণেশমূর্তির রূপ দেন শিল্পী।
এখন গণেশ আরাধনায় মত্ত মহারাষ্ট্র। সেখানে ১০ দিন ধরে চলে এই পুজো। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অনেক জায়গায় ১০ দিন ধরে চলে গণেশ পুজো। তারপর হয় ভাসান।
ফলে এখন একটি ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র বেচার দোকানে এই থিমের গণেশমূর্তি খাপ খাচ্ছিল। সেই দোকানেই হাজির হন এক বিজেপি নেতা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামীরা।
দোকানে ঢুকেই গণেশমূর্তি দেখে রাগে ফেটে পড়েন তিনি। অবিলম্বে ওই মূর্তি সরিয়ে নিতে বলেন তিনি। দোকানের ম্যানেজারের দাবি, তিনি কিছুই করেননি। তাঁর হেড অফিস থেকে নির্দেশ এসেছিল এমন একটি গণেশ তৈরি করে রাখার। তিনি কেবল সেটা করেছিলেন।
এদিকে নেতার নির্দেশে গণেশমূর্তি সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তা তৈরি হয়েছিল যে ইলেকট্রনিক যন্ত্র দিয়ে সেগুলিও খুলে ফেলা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে প্রয়াগরাজে। ওই নেতার দাবি, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র দিয়ে গণেশ তৈরি করে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে ওই সংস্থা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা