১ বছর বয়সে হওয়া বিয়ে ভেঙে গেল ২১ বছর বয়সে
তখন তাঁর সবে ১ বছর বয়স। জ্ঞান বলে কিছু ছিলনা। তাঁর তখন বিয়ে হয়ে যায়। সেই বিয়ে ভেঙে গেল ২১ বছর বয়সে এসে।
সালটা ২০০২, তখন রেখার বয়স ছিল ১ বছর। তখনও ভাল করে হাঁটতে শেখেননি। কথা বলা তো দূরের কথা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় স্থানীয় এক যুবকের। তার বাড়ির লোকজন দাঁড়িয়ে থেকে এই বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর অবশ্য শিশু রেখা তাঁর বাপের বাড়িতেই ছিলেন। একটু বড় হওয়ার পর তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিশোরী মেয়েটা জানতেই পারলেন না তাঁর কখন বিয়ে হয়ে গেল।
শ্বশুরবাড়িতে রেখাকে নানা গঞ্জনার শিকার হতে হয়। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকাও চাওয়া হয়। কার্যত কৈশোরটা শেষ হয়ে যায় রেখার।
অবশেষে রেখার সঙ্গে দেখা হয় এক সমাজকর্মীর। তিনি রেখাকে নিয়ে যান একটি পরিবার আদালতে। সেখানে আবেদন জানান রেখার বিয়েটা যেন বাতিল করা হয়। কারণ রেখার অজান্তেই তাঁর মাত্র ১ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়।
গওনা নামে একটি প্রথা পালন করতেই রেখাকে ১ বছরে বিয়ে দেওয়া হয়। পরিবার আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। বিচারক ভাষায় এই বাল্যবিবাহকে বাতিল ঘোষণা করেন।
অবশেষে জন্মেই বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়া রেখা ২১ বছরে এসে কার্যত শৃঙ্খল মুক্ত হলেন। আদালতের এই রায় বাল্যবিবাহের প্রথার বিরুদ্ধে একটি কড়া বার্তাও সমাজের কাছে পৌঁছে দিল। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা