আকাশ জুড়ে লম্বা আলোর চেন, মহাজাগতিক বিস্ময় নাকি ভিনগ্রহের যান
এই দেশেই রাতের আকাশে এমন এক দৃশ্য দেখলেন মানুষজন যার ব্যাখ্যা করতে পারছেন না কেউই। নানা ভাবে চলছে এই চমৎকার আলোর ব্যাখ্যা।
রাতের আকাশের দিকে চেয়ে থাকেন তো অনেকেই। মিশকালো আকাশে গ্রহ, নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা তাঁদের মন ভাল করে। লখনউতে এমনভাবেই আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে কিছু মানুষের এমন এক দৃশ্য চোখে পড়ল যার ব্যাখ্যা করা কঠিন।
রাতের আলো অন্ধকার আকাশের বুক চিরে দেখা গেল বলের মত সারি দিয়ে লম্বা আলোর চেন। যেমন উৎসবে বাল্বের চেন ঝোলানো হয়, অনেকটা সেরকম।
যা আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। আকাশে নানা আলোর দেখা মিলেছে। কিন্তু এমন আলোর চেনের দেখা কখনও মেলেনি। এর কথাও কেউই শোনেননি।
এই আলোকে কার্যত বিস্ময়কর বলেই ব্যাখ্যা করছেন অনেকে। অনেকের মতে এটা স্বর্গীয় বিষয়। মহাজাগতিক বিস্ময় কিনা তাও পরিস্কার নয়। লখনউ জেলার মালিহাবাদের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা এই রাত আকাশের আজব আলোকে ক্যামেরাবন্দি করেন।
বিশেষজ্ঞেরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন এটা ইলন মাস্কের স্পেসএক্স সংস্থার পাঠানো স্টারলিঙ্ক-৫১ স্যাটেলাইট ট্রেন হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকাতেও ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এই কৃত্রিম উপগ্রহের সারি আকাশে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স সংস্থা। সেই কৃত্রিম উপগ্রহের সারিই হয়তো ধরা পড়েছে চোখে।
তবে সবাই যে এই তত্ত্ব মানছেন তাও নয়। বরং বেশ কয়েকজন তো মনে করছেন এটা আসলে ভিনগ্রহের যান। যাকে পরিভাষায় বলা হয় ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা