এক ছোবলেই শেষ হয়ে গেলেন সর্প মানব
সাপ তাঁর কাছে কার্যত খেলার জিনিস ছিল। অনায়াসে ধরতেন সাপ। কিন্তু একদিনের একটা ঘটনায় বদলে গেল সব ছবি। মৃত্যু হল তাঁর।
এলাকায় তাঁকে সকলে চিনতেন সর্প মানব হিসাবে। সাপ ধরা তাঁর কাছে ছেলেখেলায় পরিণত হয়েছিল। সকলে তাঁকে ভালবাসতেন কারণ সাপ দেখা গেলেই সকলের আতঙ্ক মুছে তিনি হাজির হতেন সেখানে। তারপর ঠিক সেই সাপকে কব্জা করে ফেলতেন। ভরে ফেলতেন ব্যাগ বা কোনও বোতলে।
সাপের প্রতিও ছিল তাঁর যথেষ্ট সহানুভূতি। তিনি সাপটিকে ওই অবস্থায় বেশিক্ষণ রাখতেন না। সাপটিকে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসতেন জঙ্গলে। যাতে সাপটিও নিজের মত বাঁচতে পারে আর মানুষেরও ক্ষতি না হয়। সেই মানুষটিই অবশেষে কোবরার কবলে পড়লেন।
একটি কোবরা এলাকায় ঘুরছে শুনতে পেয়ে বিনোদ তিওয়ারি সেখানে হাজির হন। সাপটিকে ধরেও ফেলেন অনায়াসে। একদম লোকালয়ের মধ্যে।
একটি দোকানের সামনে একটি ফুল প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ৪৫ বছরের বিনোদ অতি বিষধর কোবরাকে কব্জাও করে ফেলেন। অন্য এক ব্যক্তিকে ব্যাগটি খুলে ধরতে বলেন। তারপর ব্যাগের মধ্যে সাপটিকে আস্তে আস্তে ঢুকিয়ে দেন বিনোদ।
এমন করে করে তাঁর অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনওভাবে সাপটি তাঁর আঙুলে একটা ছোবল বসিয়েই দেয়। তারপরেও ব্যাগে ভরে ব্যাগের মাথা চেপে ধরে বিনোদ মুখ দিয়ে ছোবল খাওয়া আঙুলের থেকে রক্ত চুষে নিয়ে রাস্তায় ফেলতে থাকেন। পরে তিনি ব্যাগের মাথা বেঁধে সেখান থেকে উঠে হাঁটাও লাগান।
কিন্তু কিছুটা এগিয়ে আর দাঁড়াতে পারেননি তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের চুরুর গোগামেদি এলাকায়।