৮ ঘণ্টার লটারি, সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা পেয়েও পেলেননা এক ব্যক্তি
সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার চেয়ে কিছু বেশি। যা নিজের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে দেখে কার্যত কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না এক ব্যক্তি। কিন্তু সুখ সইল না।
তিনি সেদিন দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিলেননা অঙ্কটাকে। গত ৬ বছর ধরে শেয়ার বাজারে টাকা লগ্নি করেন তিনি। শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনাবেচার জন্য কোটাক সিকিউরিটিজ-এর একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
শেয়ার কেনা বেচা চলতেই থাকে। সেই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে তিনি দেখেন জমা হয়েছে ১১ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। যা বারবার মিলিয়ে দেখেন তিনি। সঠিক দেখছেন তো!
বেশ কিছুক্ষণ পর যখন নিশ্চিত হলেন যে তাঁর ডিম্যাট অ্যাকাউন্টেই এই টাকা পড়েছে তখন ভাবলেন তিনি বোধহয় কোনও শেয়ারে লটারি পেয়ে গেছেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন তিনি।
এমনকি ওই টাকা থেকে ২ কোটি টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নিও করে ফেলেন। যা থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রফিট বুকিংও হয় তাঁর। কিন্তু তারপরই নেমে আসে অন্ধকার।
গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা রমেশ সাগর ৮ ঘণ্টা ধরে নিজের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে ওই টাকা দেখার পর আচমকাই দেখেন ওই টাকা আর নেই। ব্যাঙ্কের তরফে তাঁকে জানানো হয় ব্যাঙ্কের অ্যাপে বেশ কিছু আপডেট করা হচ্ছিল। আর তখনই গণ্ডগোলটা হয়েছে।
রমেশ সাগর বলেই নন, বেশ কয়েক জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টই বিপুল অঙ্কের টাকা ঢুকে গেছে। যা সম্পূর্ণ ভুলবশত হয়েছে। এজন্য ব্যাঙ্কের তরফে ক্ষমাও চাওয়া হয়।
তাই ব্যাঙ্ক ওই টাকা ফেরত নিয়ে নিয়েছে বলেও জানানো হয়। এটা জানার পর ৮ ঘণ্টার স্বর্গসম সুখের আলো ধুপ করে নিভে যায় রমেশ সাগরের জীবন থেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা