পৌঁছল ১৪ টনের ৪০ ফুটের অতিকায় বীণা, বসবে রাস্তার মোড়ে
মা সরস্বতীর হাতে যে বাদ্যযন্ত্রটি শোভা পায় তা বীণা। সেই বীণাই এবার জায়গা পেতে চলেছে একটি বিশেষ রাস্তার মোড়ে। ৪০ ফুটের বীণা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে।
ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতে যে বাদ্যযন্ত্রগুলি আদি অনন্ত, তার একটি অবশ্যই বীণা। এই তারবাদ্য শোভা পায় স্বয়ং মা সরস্বতীর হাতে। সেই বীণাই এবার বসতে চলেছে একটি বিশেষ মোড়ে।
বীণাটি ৪০ ফুট লম্বা। অতিকায় এই বীণা বহু দূর থেকে নজরে পড়বে সকলের। বীণাটির ওজন ১৪ টন। বীণাটি তৈরি করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর রাম বনজি সুতার। যিনি গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তৈরি করেছেন।
বীণাটি একটি বিশাল ট্রাকে নয়ডা থেকে অযোধ্যায় আনা হয়েছে। যা বসতে চলেছে লতা মঙ্গেশকরের নামাঙ্কিত মোড়ে। এই লতা মঙ্গেশকর মোড়টির এখন নাম নয়া ঘাট। যার নাম বদলে করা হচ্ছে লতা মঙ্গেশকর মোড়। অযোধ্যা শহরের অন্যতম রাস্তার মোড় এটি। এখানেই এই বীণা বসানো থাকবে।
অক্টোবরে অযোধ্যা শহর সাড়ে ১৪ লক্ষ প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠতে চলেছে। ওইদিনই এই লতা মঙ্গেশকর মোড়ের উদ্বোধন করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে এই মোড়ের নামকরণ নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি।
অযোধ্যায় উপস্থিত সাধু মহন্তদের একাংশ নয়া ঘাট মোড়ের নাম বদলে লতা মঙ্গেশকরের নামে করার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা চাইছিলেন ওই মোড়ের নাম যদি বদলাতেই হয় তাহলে তার নাম হোক জগৎগুরু রামানন্দচার্যের নামে।
পরে যোগী আদিত্যনাথ তাঁদের কথা দেন যে অযোধ্যার অন্য একটি মোড় জগৎগুরু রামানন্দচার্যের নামে করা হবে। তারপর সমস্যা মেটে। এখন নয়া ঘাটের নাম বদলে লতা মঙ্গেশকর মোড় করায় আর কারও কোনও আপত্তি নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা