এককাট্টা হয়ে এক ঢিলে ২ পাখি মেরে পরিশ্রম লাঘব করলেন মহিলারা
কঠিন পরিশ্রম করেও যদি ফল না মেলে তাহলে তা আরও যন্ত্রণার। কিন্তু সেটাই করে যেতে হচ্ছিল। সেই পরিশ্রমকে ম্লান করে সকলের মুখে হাসি ফোটাল ওক বন।
পরিশ্রম তো করতেই হয়। পরিশ্রমে দোষ নেই। কিন্তু পণ্ডশ্রমে আছে। অথচ এমনও জায়গা রয়েছে যেখানকার মহিলাদের প্রত্যেকদিন কঠিন লড়াই করে যেতে হত ৫ কিলোমিটার। তাও পায়ে হেঁটে।
এই ৫ কিলোমিটার পথ যদি সুগম হত তাহলে তো কথাই ছিলনা। কিন্তু এই পথ ছিল পাহাড়ি, দুর্গম। সেই পথ গ্রামের মহিলারা প্রতিদিন হাঁটা লাগাতেন। তারপর একটি জঙ্গলে পৌঁছে সংগ্রহ করতে গ্রামের গৃহপালিত পশুদের খাবার।
মূলত গাছের পাতা সংগ্রহ করতেন তাঁরা। যার বেশিরভাগ পাতাই হত ওক গাছের। যা আবার অতি ঠান্ডায় অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেত।
সেসব পিঠে করে ফের তাঁরা ৫ কিলোমিটার হেঁটে ফিরতেন গ্রামে। এই পরিশ্রম আর সহ্য করতে পারছিলেননা তাঁরা। কিন্তু কিছু করারও ছিলনা। উত্তরাখণ্ডের পাইনি গ্রামের বাসিন্দারা কিন্তু অবশেষে পেলেন। পেলেন এই কঠিন শ্রম থেকে রেহাই পাওয়ার রাস্তা।
গ্রামের মহিলারা দেখেন গ্রাম থেকে সামান্য দূরেই একটি প্রায় ২ হেক্টর জমি পড়ে আছে। যেখানে চাষাবাদ কিছু হয়না। পড়ে থাকা জমিটি দখলের চেষ্টাও শুরু হয়েছে।
গ্রামের মহিলারা তখন এককাট্টা হয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিলেন। এক ঢিলে ২ পাখি মারার সিদ্ধান্ত। ওই জমিতে তাঁরা ২ হাজার ওক গাছের চারা রোপণ করেন।
তাতে ওই জমি জবরদখলও হতে পারল না। আবার ওই ২ হাজার ওক গাছ কয়েক বছরের মধ্যে বড় হয়ে তাঁদের প্রতিদিনের পরিশ্রমও সম্পূর্ণ মুছে দিল। এখন পাইনি গ্রামের মহিলারা গৃহপালিত পশুদের জন্য খাবার নিতে গ্রাম লাগোয়া ওই ওক বনে হাজির হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা