প্রেমের সম্পর্ক এগিয়েছিল অনেক দূর। শারীরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফল হিসাবে ২১ বছরের তরুণী হয়ে পড়েন সন্তানসম্ভবা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী হরিকা শুরুর দিকে বুঝতেও পারেননি সন্তানের উপস্থিতি। যখন বুঝলেন তখন প্রেমিক এস মধুর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নেন আপাত অযাচিত এই সন্তান তাঁরা নষ্ট করে দেবেন। গর্ভপাত করাতে হাজির হন অনুষা নার্সিং হোমে। সেখানকার সুপার গিরিজা রানি ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হরিকার গর্ভপাত করাতে রাজিও হয়ে যান।
যদিও ততদিনে হরিকার জঠরের ভ্রূণ ২০ সপ্তাহ অতিক্রম করে ফেলেছে। আর নিয়ম অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ ভিন্ন ২০ সপ্তাহের বেশি বয়সের ভ্রূণ নষ্ট করা যায়না। তবু অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয় ২১ বছরের হরিকাকে। গর্ভপাতের প্রক্রিয়াও চালু হয়। কিন্তু একসময়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে হরিকার। কিছুতেই সেই রক্ত বন্ধ করতে না পেরে অগত্যা রোগীকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে অনুষা নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রচুর রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে হরিকার।
এই ঘটনার পর অনুষা নার্সিং হোমে বিক্ষোভ দেখান হরিকার পরিবারের লোকজন। পুলিশ গিরিজা রানি ও হরিকার প্রেমিক এস মধুকে আটক করেছে।