মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হতে দেশে ফিরছেন মস্কোর আয়ুর্বেদ ডাক্তার
তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। যিনি মস্কোয় ডাক্তারি করতেন। তিনি দেশে ফিরলেন একদম অন্য রূপে। একদম অন্য দায়িত্ব কাঁধে নিলেন তিনি।
রাশিয়ার রাজধানী শহর মস্কো। সেই শহরেই রয়েছে তাঁর ক্লিনিক। সেখানে তিনি স্ত্রী মানসীকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন তাঁর ক্লিনিকে কম মানুষ ভিড় জমান না। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হিসাবে মস্কোয় তাঁর সুনাম রয়েছে। ফলে এক ঝলমলে কেরিয়ার নিয়ে দিব্যি কাটাচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি কেরালার বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দির গুরুবায়ুর মন্দিরে একটি আবেদনপত্র পাঠান। যেখানে তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হওয়ার আবেদন জানান। প্রসঙ্গত ৬ মাসের জন্য মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হওয়ার আশা নিয়ে মোট ৪১ জন আবেদনপত্র পাঠান।
এই আবেদনপত্রগুলির মধ্যে থেকে ৩৯টি আবেদনপত্রই নির্বাচিত হয়। এবার এঁদের মধ্যে থেকে ১ জনকে বেছে নিতে করা হয় লাকি ড্র। আর তাতেই নাম ওঠে কিরণ আনন্দ নাম্বুথিরি-র। এই কিরণই হলেন সেই যুবক আয়ুর্বেদ ডাক্তার, যিনি রাশিয়ায় প্র্যাকটিস করেন।
একজন আয়ুর্বেদ ডাক্তারের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। ১ অক্টোবর থেকে কিরণ এই গুরুদায়িত্ব সামলানো শুরু করবেন। তারপর ৬ মাস তিনি গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসাবে থাকবেন।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ৩৪ বছরের কিরণ। ১ অক্টোবর থেকে নেবেন দায়িত্ব।
কিরণ জানিয়েছেন, গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। ঈশ্বরের আশির্বাদ পেয়েছেন তিনি। তিনি মনে করেন অত্যন্ত বড় এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ভগবান গুরুবায়ুর তাঁকে সাহায্য করবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা