দলের সাংসদই সেমসাইড করে বসেছেন, প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি
দলের একজন সাংসদ যে নিজের দলকেই এমন অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেবেন তা বিজেপি নেতারা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু সেটাই হল।
তিনি ২টি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে জীবিকা নির্বাহ করার মত কিছু নেই। অনেক পরিবারের পুরুষরা তাই রোজগারের জন্য দেশি মদ তৈরি করেন। যা বেআইনি। ফলে গ্রামে পুলিশ হানা দেয়। পুলিশ তাঁদের তুলেও নিয়ে যায়।
এরপর তাঁদের মুক্ত করতে তাঁর পরিবারের লোকজন পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার টাকা জোগাড় করেন বাড়ির মেয়েকে বিক্রি করে দিয়ে। এটাই নাকি চলছে। ঘুষের টাকা মেয়েকে বেচে জোগাড় করছেন গ্রামবাসীরা।
অন্তত এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। বিজেপি সাংসদ এক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের ২টি গ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন। আর সেখানেই বিজেপি নেতৃত্ব প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন।
মধ্যপ্রদেশে এখন বিজেপি সরকার। শিবরাজ সিং চৌহান মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন। সেখানেই পুলিশ ঘুষ নেয়, গ্রামের মানুষ নিজের পরিবারের মেয়েকে বেচে ঘুষের টাকা জোগাড় করেন, বিজেপি সাংসদের মুখে এমন দাবিতে পালে হাওয়া পেয়েছে কংগ্রেস। তারা এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছে।
কংগ্রেসে বিজেপি সাংসদের কথার রেশ ধরেই কটাক্ষ করেছে এক্ষেত্রে বিজেপি শাসিত রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও নীতি কোথায় গেল? যা বিজেপির অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
কটাক্ষের সুর আরও চড়িয়ে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি সাংসদই বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। ভোপালের বিজেপি সাংসদের বিষয়টি সংসদে পেশ করে বিজেপিকে আরও চাপে ফেলা উচিত বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা