অভিনব আবিষ্কার, চড়া রোদেও বাড়ি বাড়ি আরামে ঘুরছেন বৃদ্ধ
তাঁর বয়স ৭৭ বছর। ফুলের মালা নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু সেই ঘোরায় কষ্ট নেই। এমন এক আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি।
বয়স প্রায় ৭৭ বছর। এই বয়সেও নিজের প্রয়োজনীয় রোজগারটা তিনি নিজেই করে নেন। তিনি পেশায় ফুল বিক্রেতা। ফুলের মালা নিয়ে বাড়ি বাড়ি বেচে বেড়ান। কোনও দোকান করে বসেন না ফুল নিয়ে।
যেহেতু রাস্তায় ঘুরে তাঁকে মালা বেচতে হয় তাই গরমে চড়া রোদে ঘুরতেই হয়। আর তার ফলে তাঁর কিছুদিন আগেও মাঝে মাঝেই গরম সহ্য না করতে পেরে জ্বর এসে যাচ্ছিল। ফলে তাঁর ফুল বিক্রি ধাক্কা খাচ্ছিল। থমকে যাচ্ছিল রোজগার। তাই তিনি মাথা খাটিয়ে একটি উপায় বার করেছেন।
লাল্লুরাম নামে ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তাঁর রোজগার তেমন নয়। তাই তিনি পরিচিতদের একজনের কাছ থেকে একটি হেলমেট জোগাড় করেন। অন্য একজনকে বলে জোগাড় করেন একটি ছোট্ট পাখা। আর এক পরিচিত তাঁকে একটি সোলার প্যানেল দিয়ে সাহায্য করেন।
এগুলি হাতে পেয়ে লাল্লুরাম হেলমেটে একটি রড লাগিয়ে তার অন্য প্রান্তে পাখাটি লাগান। আর হেলমেটের মাথায় ফিট করে দেন সোলার প্যানেলটি। প্যানেল থেকে একটি তার নিয়ে এসে পাখায় জুড়ে দেন। ব্যস, তাঁর গরমকে হেলায় হারানোর যন্ত্র তৈরি হয়ে যায়।
রোদে বার হলে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। যা তারের সাহায্য পৌঁছে পাখাটি ঘোরায়। পাখাটি আবার তাঁর মুখের সামনে লাগানো। ফলে রাস্তায় ঘুরলেও ফ্যানের মিষ্টি ঠান্ডা হাওয়া তাঁকে সুস্থ রাখে, ভাল রাখে।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির এই বৃদ্ধের এই আবিষ্কার সকলের নজর কেড়েছে। বৃদ্ধ এখন প্রবল গরমেও নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। বেচেন ফুলের মালা। তাও আবার পাখার হাওয়া খেতে খেতে আরামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা