
পরের পর নির্বাচনে কোণঠাসা কংগ্রেসের জন্য রাজ্যসভার নির্বাচনে গুজরাট থেকে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলকে জেতানো ছিল কার্যতই ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া লড়াই। এদিকে পরপর জিততে থাকা বিজেপির খাসতালুক হিসাবে পরিচিত গুজরাট থেকে ৩টে রাজ্যসভা সিটই জেতা ছিল একমাত্র লক্ষ্য। এরমধ্যে অমিত শাহ বা স্মৃতি ইরানির জয় নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিল গেরুয়া শিবির। প্রশ্ন চিহ্নটা কাজ করছিল আহমেদ প্যাটেলকে নিয়ে। সেই সিটটাও জিততে কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার নানা কৌশল করছে বিজেপি বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের জন্য আরও বড় ধাক্কা হয় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের অন্যতম মুখ শঙ্কর সিং বাঘেলার বিজেপির দিকে ঢলে পড়া। আরও ২ কংগ্রেস বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের কাছে অশনিসংকেত পরিস্কার হয়ে যায়। তাই রাতারাতি কংগ্রেসের ৪২ জন বিধায়ককে কর্ণাটকের সেফ শেল্টারে পাঠিয়ে দেয় কংগ্রেস হাইকমান্ড। ফিরিয়ে আনা হয় ঠিক রাজ্যসভা ভোটের আগের দিন। রাখা হয় আমেদাবাদের একটি সুরক্ষিত রিসর্টে।
এরপরও নাটক বাকি ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ ভোটের সময়ে ২ কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়ে তা বিজেপি প্রার্থী অমিত শাহকে দেখান। ফলে সেই ২টি ভোট বাতিলের দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। কমিশন দফায় দফায় বৈঠক করে। দেখা হয় ভিডিও ফুটেজও। এই পর্ব শেষ করতেই মধ্যরাত হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় ভোট গণনা। বাতিল হয় ওই ২টি ভোট। তাতেই বাজিমাৎ। ৪৪টি ভোট পেয়ে কান ঘেঁষে জয় ছিনিয়ে নেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ আহমেদ প্যাটেল। গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জয় কংগ্রেসের জন্য অক্সিজেনের কাজ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।