কেউ কোথাও নেই, একাই ক্লাসরুমে রাত কাটাল প্রথম শ্রেণির ছাত্রী
একটা ফাঁকা ক্লাসরুম। কেবল সে একা। সেখানেই রাত কাটাল এক প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ক্লাস থেকে যে সে বেরিয়ে যাবে তারও উপায় ছিলনা।
গত মঙ্গলবার যেমন পুরোদিন ক্লাস হয় তেমনই হয়েছিল। তারপর ছুটি হয়। ছুটির পর ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাঁকা করে ছাত্রছাত্রীরা যে যার বাড়ির দিকে রওনা দেয়। শিক্ষকরাও ফেরেন বাড়িতে।
স্কুলের ঘর এবং মূল ফটকে তালা দিয়ে তাঁদের কিছুটা পর বার হন স্কুলের অশিক্ষক কর্মীরা। কিন্তু কেউ দেখলেন না একটি ছোট্ট মেয়ে একাই একটি ক্লাসরুমে বসে আছে।
ক্লাসরুমে তালা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল যাঁর হাতে তিনি ক্লাসরুমে একবার উঁকি দিয়ে দেখারও প্রয়োজন বোধ করলেন না, কেউ রয়ে গেল কিনা! বেমালুম দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে গেলেন তিনি। তার আগে ওই প্রথম শ্রেণির মেয়েটির বাড়ির লোকজন তার খোঁজে এলে তিনি এটাও জানান যে স্কুলে আর একটাও বাচ্চা নেই।
৭ বছরের মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তার মামা ও দিদা আশপাশের জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা খুঁজে দেখেন। আশপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু মেয়েটির কোনও খোঁজ মেলেনি। যদিও খোঁজ করলেও রাত পেরলেও তাঁরা পুলিশে কেন যাননি তা অজানা।
এদিকে বুধবার সকালে যেমন স্কুল খোলার তেমনই খোলে। প্রথম শ্রেণির ঘরের তালা খুলে দেখা যায় সেখানে এক ছাত্রী বসে আছে। বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। দ্রুত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়।
জানা গিয়েছে ওই ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটি সারারাত কিছু না খেয়ে ক্লাসরুমে একা কাটালেও তার শরীর মোটামুটি সুস্থ আছে। পুরো বিষয়টিতে স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের চরম গাফিলতি দেখছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার ধনরি পাত্তি এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা