National

ক্লাবে আসা তরুণীর জামাকাপড় টেনে ছিঁড়ে দিল বাউন্সাররা, অভিযোগ ঘিরে হইচই

নাইটক্লাবে আসা এক তরুণীর জামাকাপড় টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই নাইটক্লাবের বাউন্সারদের বিরুদ্ধে। এমন এক অভিযোগের পর পুলিশও তৎপর।

তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নাইটক্লাবে এসেছিলেন। রাতটা নাইটক্লাবে আনন্দ করে উপভোগ করে কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নাইটক্লাবে আসার পর তাঁর সঙ্গে ওই ক্লাবের বাউন্সারদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বিষয়টি কথা কাটাকাটিতে থেমে থাকেনি। বরং পারদ চড়তে থাকে।

তরুণীর অভিযোগ এই সময় তাঁর পরনের পোশাক ধরে ছিঁড়ে দেয় বাউন্সাররা। তাঁকে শারীরিক নিগ্রহেরও শিকার হতে হয়। যা তাঁর কাছে আকস্মিক ছিল।


এই অপমান মেনে নিতে পারছেন না ওই তরুণী। পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া, গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি সোজা পুলিশের কাছে হাজির হন। বিষয়টি পুলিশও হাল্কা ভাবে নেয়নি। বাউন্সারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।

এই নাইটক্লাবটির বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ এসেছিল। তাই পুলিশের কাছে ওই নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষের আচরণ ও প্রবণতার সম্বন্ধে ধারনা রয়েছে। এবার তো এক তরুণীর জামাকাপড় ছেঁড়ার অভিযোগই সামনে এসে পড়ল।


ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির ‘দা কোড’ নাইটক্লাবে। রাতে তরুণীর কাছ থেকে একটি পিসিআর কল পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশকে তরুণী জানান, ২ বাউন্সার এবং ক্লাবটির ম্যানেজার মিলে তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে। তাঁকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছে। মারধরও করেছে।

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পাল্টা তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে যে স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক তাদের কাছে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করার পর ওই রাতে ৪ জন ছেলের সঙ্গে ৩ জন তরুণী হাজির হন। তাঁরা ক্যাশ থেকে টাকাও নিয়ে নেন বলে অভিযোগ।

পরে তাঁদের মধ্যেই এক তরুণী মিথ্যা ফোন করেন বলেও অভিযোগ করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের দাবি, সেদিন তরুণী ফোন করার পরও ক্লাবে ওই পুলিশ আধিকারিকই হাজির হন। তাঁদের এর ফল ভুগতে হবে বলেও ভয় দেখান। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button