খেতে গেলে আধার কার্ড দেখাতে হবে, বিয়েবাড়িতে এসে মাথায় হাত অতিথিদের
বিয়েবাড়িতে মানুষ সেজেগুজে উপহার হাতে যান। আধার কার্ড সঙ্গে করে যান না। কিন্তু একটি বিয়েবাড়িতে অতিথিদের খেতে গেলে আধার কার্ড দেখাতে হল।
২ মেয়ের একসঙ্গেই বিয়ে স্থির করেছিলেন অভিভাবকরা। আয়োজনেও ত্রুটি রাখেননি তাঁরা। ধুমধামে কোনও ফাঁক ছিলনা। বিয়ের দিন সন্ধেয় অতিথি সমাগমও শুরু হয়।
এদিকে যত সময় গড়ায় ততই কন্যাপক্ষের বুকের ধুকপুকানি বাড়তে থাকে। যে সংখ্যায় অতিথি হাজির হচ্ছেন তাতে তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেননা খাবার কুলোবে কীভাবে?
কন্যাপক্ষের তরফে অতিথিদের মুখ চেনার চেষ্টা চলতে থাকে। কিন্তু অনেক মুখই তাঁদের অচেনা। এঁরা কারা? এঁরা কি বরপক্ষের? তাও বুঝে উঠতে পারছিলেননা।
এদিকে খাবার জায়গায় ক্রমশ ভিড় বাড়ছিল। এই অবস্থায় কন্যাপক্ষের তরফে এক ফতোয়া জারি করা হয়। তারা জানিয়ে দেয় যেখানে খাবার বন্দোবস্ত হয়েছে সেখানে প্রবেশ করতে গেলে সকলকে আধার কার্ড দেখাতে হবে।
বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এসে আধার কার্ড দেখাতে হবে? এ কেমন কথা? অনেকে তো খেতে গিয়েও ঢুকতে পারেননি আধার কার্ড না আনায়।
অনেকেই অভিযোগ করেন আধার কার্ড আনতে হবে নিমন্ত্রণের সময় জানানো হয়নি কেন? কে বিয়েবাড়িতে আধার কার্ড নিয়ে আসেন? বেশ কয়েকজন অতিথি এমন ফতোয়াকে অপমান বলে ব্যাখ্যা করে না খেয়েই বিয়েবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আবার অনেকের বাড়ি কাছাকাছি। তাঁরা গিয়ে আধার কার্ড নিয়ে আসেন।
তবে কন্যাপক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। আধার কার্ড দেখাতে পারলে তবেই মিলেছে খাবার জায়গায় প্রবেশের অধিকার। হাতে পেয়েছেন খাবারের প্লেট। নচেৎ খালি পেটেই বিয়েবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা