নিজের ইচ্ছায় সমাধিস্থ এক যুবককে মাটির তলা থেকে তুলে আনল পুলিশ
মাটির তলায় ৬ ফুট গর্ত খোঁড়া। তার মধ্যে সমাধিস্থ এক যুবককে তুলে আনল পুলিশ। যুবককে জিজ্ঞেস করায় বেরিয়ে এল আসল কথা।
কয়েকটি পলিথিনের প্যাকেটের টুকরো মাটির কোণা থেকে উঁকি দিচ্ছিল। সেগুলিকে টেনে সরিয়ে দেওয়ার পর মাটিও সরানো শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। লেপে দেওয়া মাটি সরাতেই দেখা যায় সারি সারি কাঁচা বাঁশের টুকরো সারি দিয়ে রেখে একটি চাতাল মত বানানো হয়েছে। যা দিয়ে একটি গুছিয়ে চৌকো করে কাটা গর্তকে ঢাকা হয়েছে।
বাঁশগুলি এক এক করে সরাতেই দেখা গেল একটি ৬ ফুটের চৌকো গর্ত খোঁড়া হয়েছে। যার মধ্যে বসে আছেন এক যুবক।
পুলিশের ডাকে না বার হওয়ায় এক পুলিশ আধিকারিক নিজেই নেমে পড়েন গর্তের মধ্যে। তারপর কার্যত টেনে ওপরে তোলেন ওই যুবককে।
যুবকের নাম শুভম গোস্বামী। তাঁর দাবি, তিনি নিজের ইচ্ছায় সমাধিস্থ হয়েছিলেন। পুলিশ তাঁকে এবং ওই গর্তের আশপাশে পুজোপাঠ করা ৩ পুরোহিতকে গ্রেফতার করে। পরে শুভমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বেরিয়ে আসে সত্যিটা।
মুন্নালাল ও শিবকেশ নামে ২ পুরোহিত শুভম ও তাঁর বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে নবরাত্রি শুরুর আগের ১টা দিন যদি শুভম সমাধিস্থ থাকেন তবে তিনি দিব্যজ্ঞান লাভ করবেন।
শুভম সমাধিস্থ হবেন। আর ওপরে পুজোপাঠ করবে পুরোহিতরা। এভাবে ১ দিন পর তাঁর দিব্যজ্ঞান লাভ হবে। এই কাজে মোটা টাকা খরচের কথাও জানায় তারা।
শুভম ও তাঁর বাবা এতে রাজি হয়ে যান। পুলিশ বুঝতে পারে নবরাত্রির আগে বেশ কিছু টাকা পকেটস্থ করার জন্য পুরোহিতরা শুভমকে ভুল বোঝাতে সক্ষম হয়। যাতে শুভমের প্রাণহানির সম্ভাবনা যথেষ্ট ছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে। গ্রামবাসীরা সঠিক সময়ে পুলিশকে খবর না দিলে শুভমের প্রাণহানিও হতে পারত বলে মনে করছে পুলিশ।