গভীর অরণ্যে অনন্য আবিষ্কার, লুকিয়ে থাকা প্রাচীন গুহা, শিলালিপির হদিশ
এ এক অনন্য আবিষ্কার। বাঘদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে জঙ্গলের মধ্যে খনন চালিয়ে অনেক মন্দির, গুহা, শিলালিপির হদিশ পেলেন এএসআই-এর প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
বাঘের ডেরা হিসাবেই পরিচিত এই জায়গা। পাহাড়ের সারির মাঝে ঘন জঙ্গল। সেখানে যে এমন এক প্রাচীন সম্পদ লুকিয়ে ছিল তা জানা ছিলনা কারও।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকেরা সেখানে জঙ্গলের মধ্যে খনন চালিয়ে একের পর এক নিদর্শনের হদিশ পেলেন। গত ২০ মে থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের ঘন জঙ্গলে গবেষণার কাজ চালায় এএসআই।
বিন্ধ্যপর্বতমালার কোলে এই জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ২৬টি প্রাচীন মন্দির। যার মধ্যে কয়েকটির বেশ কিছু অংশ ভাঙা ছিল।
এছাড়া ২৬টি গুহার খোঁজ মিলেছে। যে গুহায় ঢুকে সেখানে বৌদ্ধধর্মের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। ২ বৌদ্ধ গুম্ফারও খোঁজ মিলেছে এখানে। পাওয়া গিয়েছে ২৪টি শিলালিপিও। এছাড়া ২০টি জলাধারের খোঁজও পাওয়া গিয়েছে।
একটি জায়গা জুড়ে এতগুলি প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন বাস্তবেই এক বিশাল আবিষ্কার। যা বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এতদিন লুকিয়ে ছিল। যার হদিশও কেউ জানতেন না।
মন্দিরগুলি কালচুরি বংশের শাসনকালে তৈরি হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ১০০ বছর আগের মন্দির সেগুলি।
প্রসঙ্গত বান্ধবগড় অরণ্যে এর আগে যখন খননকার্য চালানো হয়েছিল তখন ভারতে ব্রিটিশ রাজত্ব ছিল। ১৯৩৮ সালে সেখানে শেষবার এই কাজ হয়।
তারপর ৮৫ বছর বান্ধবগড়ের জঙ্গলে কোনও অনুসন্ধানের কাজ হয়নি। ফের তা হতেই এমন অনন্য সব ঐতিহাসিক স্থাপত্য সামনে এল।
বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে আরও ১০০টির মত গুহার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন এএসআইয়ের বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা