এই চায়ের দোকানে এক ভাঁড় চায়ের দাম বিটকয়েনে মেটানো যায়
এক ভাঁড় চায়ের দাম সাধারণত মানুষ পকেটে থাকা খুচরো পয়সায় মিটিয়ে দেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা অনলাইনেও মেটানো যায়। তা বলে ক্রিপ্টো!
চায়ের দোকানে তো সারাদিনে পথচলতি কত মানুষই দাঁড়িয়ে পড়েন। এক ভাঁড় চায়ে গলা ভিজিয়ে একটু হারানো এনার্জি ফিরে পেয়ে তাঁরা ফের ছোটেন কাজে।
আবার অলস সময়ে নেহাত আড্ডা দিতেও পাড়ার দোকানের এক ভাঁড় গরম চায়ের সঙ্গতের তুলনা হয়না। সাধারণ মানুষ এখনও চায়ের দোকানে এক ভাঁড় চা খেয়ে তার দাম পকেটে থাকা খুচরো পয়সা বা ১০, ২০ টাকার নোটে মিটিয়ে দেন।
খুব বেশি হলে অনলাইনেও দামটা মিটিয়ে দেন অনেকে। কিন্তু ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও যে একভাঁড় চায়ের দাম মেটানো যায় তা কেউ ভাবতেই পারেননা। কিন্তু এ দেশেই এমন এক চায়ের স্টল রয়েছে যেখানে বিটকয়েনেও মেটানো যায় চায়ের দাম।
ভারতের মোট জনসংখ্যার একটা অংশ ক্রিপ্টো কারেন্সির নাম শুনেছে ঠিকই, কিন্তু সেটা ঠিক কী ধরনের মুদ্রা সে সম্বন্ধে তাদের কোনও ধারনাই নেই। কারও ধারনা খুব আবছা।
কেউ আবার এর তার মুখে শুনে একটা ধারনা করেছেন বটে তবে তা পুরোটা অনেক সময় সঠিক নয়। এমন এক দেশে পথচলতি মানুষ ক্রিপ্টোতেও যে চায়ের দাম মেটাতে পারেন তা যে চায়ের স্টল দেওয়া নব্য প্রজন্মের এক তরুণ ভেবেছেন সেটাও তারিফযোগ্য।
বিসিএ কোর্স করতে করতে মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে শুভম সাইনি বেঙ্গালুরু শহরে একটি চায়ের স্টল খুলেছেন। সে দোকানে বড় বড় করে লেখা রয়েছে এক ভাঁড় চায়ের দাম ২০ টাকা। সে টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও যে কেউ চাইলে মেটাতে পারেন।
শুভমই হলেন দেশের প্রথম চায়ের দোকানের মালিক যিনি ক্রিপ্টোতে দাম নিতে রাজি হলেন। যদিও তিনি কীভাবে ক্রিপ্টোতে দামটা নেবেন সে সম্বন্ধে অনেকেই পরিস্কার ধারনা পাচ্ছেন না।