মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে এটাও দেওয়া সম্ভব, তদন্তের নির্দেশ
সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের যে এলাহি খাবার জোটে তা নয়। তবে এটাও যে দেওয়া যায় তা দেখে হতবাক সকলে।
সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে পেট ভরে খাওয়ানো হয় ঠিকই, তবে সে খাবার যে দারুণ সব রান্না হয় তা নয়। এমনও নয় যে পাতে মাছ, মাংস পড়ে। বরাদ্দ অনুযায়ী তো খাবার দেওয়া যাবে বলে জানান মিড মিলের দায়িত্বে থাকা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
মিড ডে মিল খাওয়ানোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে প্রধানত থাকেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। তবু ভাত, ডাল, সয়াবিন, সবজি, মাঝেমধ্যে ডিম, খিচুড়ির মত খাবার খাওয়ানো হয়।
কিন্তু এমনও বরাদ্দের অবস্থা নয় যে শিশুদের পাতে ভাত আর নুন দিতে হবে! কিন্তু একটি স্কুলে এভাবেই নুন ভাত জুটছিল পড়ুয়াদের।
পাতে এভাবে ভাতের সঙ্গে কেবল নুন দিয়ে মিড ডে মিল পরিবেশন হয়েছে জানতে পেরে অভিভাবকরা আর স্থির থাকতে পারেননি। তাঁরা স্কুলে এসে হাজির হন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি বিক্ষোভে শামিল হয় পড়ুয়ারাও।
পড়ুয়া ও অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কদিচ কখনও স্কুলে আসেন। তাদের নুন ভাত তো তবু দেওয়া হয়েছে, মাঝেমধ্যে কোনও মিড ডে মিলই পরিবেশন করা হয়না। এমন দিনও যায় যে পড়ুয়ারা মিড ডে মিলই পায়না।
এই ঘটনা জানার পর স্কুল শিক্ষা দফতর উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার বিকাপুরের ওই সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা একতা যাদবকে সাসপেন্ড করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা