বেড়াল কামড়ানোয় হাসপাতালে ইঞ্জেকশন নিতে এসে কুকুরের কামড় খেলেন তরুণী
তাঁকে একটি বেড়াল কামড়ে দিয়েছিল। তার প্রতিষেধক হিসাবে হাসপাতালে এসেছিলেন ইঞ্জেকশন নিতে। সেই সময় একটি কুকুর কামড়ে দিল এক তরুণীকে।
বেড়াল কামড়ে দিলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। এক তরুণীকে বেড়াল কামড়ে দেওয়ার পর তাঁকে চিকিৎসকেরা ব়্যাবিস-এর প্রতিষেধক নিতে বলেন। সেটিরই তৃতীয় ডোজটি নিতে তিনি বাবার সঙ্গে এসেছিলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য বাবা ও মেয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কখন তাঁদের নাম ডাকা হবে সেই অপেক্ষা। সে সময় তরুণীর পায়ের কাছে হাসপাতালের মধ্যেই একটি কুকুর শুয়েছিল।
রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরটি আচমকা তরুণীর পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। চিৎকার করে ওঠেন তরুণী। একে বেড়ালের কামড়ের ইঞ্জেকশনের কোর্স শেষ হয়নি। তারমধ্যেই রাস্তার কুকুরের কামড়।
দ্রুত তরুণীর বাবা সেখানকার কর্মীদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ, কুকুর কামড়ে দিয়েছে শুনেও কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি। বরং পাশে বসে থাকা অন্য এক রোগীর আত্মীয় সাবান দিয়ে তরুণীর কাটা অংশ ধুইয়ে দেন।
তরুণীর বাবার অভিযোগ দীর্ঘ সময় তাঁরা বলা সত্ত্বেও কেউ চিকিৎসা করেননি। পরে তরুণীর ক্ষত পরীক্ষা করে তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার তিরুবনন্তপুরমের কাছে ভিজিনজাম এলাকায়। সেখান থেকে তরুণীকে ১৫ কিলোমিটার পথ পার করে তিরুবনন্তপুরমে এনে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি সঠিক চিকিৎসা পান।
প্রসঙ্গত কেরালা জুড়েই রাস্তার কুকুর মানুষকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। কেরালার মানুষের অভিযোগ সব জেনেও প্রশাসনের তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা