এক গোত্রে বিয়ে, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশের কাছে ছুটলেন নবদম্পতি
এক গোত্রে বিয়ে করে এবার মহাসমস্যায় পড়ে গেলেন এক দম্পতি। এমন অবস্থা যে তাঁদের ছুটতে হল পুলিশের কাছে। পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করেছে।
বিয়েটা করেছিলেন গত ২০ মে। ২ পরিবার সেকথা জানত না। কোনও পরিবারই মানবে না একথা বুঝতে পেরে তরুণ তরুণী একটি মন্দিরে লুকিয়ে বিয়ে করেন। সেকথা কেউ জানতে পারেনি।
কিন্তু সমস্যা হয় সেপ্টেম্বর মাসে। যখন তাঁরা তাঁদের বিয়েকে আইনি রূপ দিতে বিয়ে নথিভুক্ত করতে যান। তখনই ২ পরিবার জেনে যায় তাঁদের বিয়ের কথা। জেনে যায় পাড়া প্রতিবেশিরা। তারপরই শুরু হয় যাবতীয় ঘটনা।
গ্রামের সকলে এককাট্টা হয়ে একটি আলোচনা সভা বসান। যেখানে উপস্থিত হন আশপাশের গ্রামেরও ঠাকুর সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁরা ২ পরিবারকে ডেকে জানিয়ে দেন যেভাবে তাঁদের ছেলে মেয়ে এক গোত্রে বিয়ে করছেন তা মেনে নিতে তাঁরা পারছেন না।
এমনকি তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়েকে তাঁর বাপের বাড়িতে ৫ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাও সকলে জানান যে এভাবে এক গোত্রের বিয়ে মেনে নিলে তা আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের জন্য ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। তাই তাঁরা কিছুতেই এই বিয়ে মানছেন না।
তাঁদের ওপর যেকোনও সময় হামলা হতে পারে আন্দাজ করে নবদম্পতি ওই তরুণ তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন। যাতে তাঁদের সুরক্ষা দেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে তাঁদের ওপর কোনও হামলা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওই তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর মেয়েকে জোর করে নিয়ে গেছেন ওই তরুণ। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা