নোটের তাড়ার মধ্যে বসে বিগ্রহ, দেওয়ালে নোট, সিলিং থেকে ঝুলছে নোট
চারিদিকে শুরু টাকা আর টাকা। তার মধ্যেই অবস্থান করছেন বিগ্রহ। ভক্তদের ঢল নামছে মন্দির। বিগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চারধারে রাশি রাশি টাকাও তাঁদের দ্রষ্টব্য।
মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল মুড়ে দেওয়া হয়েছে নোটে। ১ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকার নোট দেওয়াল জুড়ে। কোথাও এতটুকু ফাঁক নেই। গর্ভগৃহের সিলিং থেকেও ঝুলছে নোট।
এখানেই শেষ নয়। নোটের বান্ডিলে বিগ্রহের চারধার মুড়ে ফেলা হয়েছে। গর্ভগৃহের প্রায় পুরো মেঝে জুড়েই থরে থরে রাখা নোটের বান্ডিল। বিগ্রহের বেদীও নোটের আড়ালে হারিয়ে গেছে। বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছনোই কার্যত সম্ভব নয়। তার অনেক আগে থেকেই নোটের বান্ডিলে ঢাকা পড়েছে মেঝে।
চারিদিকে সোনায় গয়নাও রয়েছে। বিগ্রহকেও সোনার গয়না দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার গয়না ও নোটে সেজে উঠেছেন বিগ্রহ। এর মধ্যে নোট রয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকার।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বাসবী কনক পরমেশ্বরী মন্দিরে নবরাত্রির সাজ দেখে বহু ভক্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকছেন। এখানে বিগ্রহ কখনও পার্বতী কখনও লক্ষ্মী রূপে পূজিতা হন।
দেবী মূর্তির আশপাশ এভাবে নোটে ভরে ওঠার সবটাই কিন্তু ভক্তদের দান। যা তাঁদের ফেরতও দিয়ে দেওয়া হবে। অন্তত এমনই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
১৩৫ বছরের পুরনো মন্দিরে ধুমধাম করে নবরাত্রি পালিত হয়। পুজো হয়। সেখানে অনেক ভক্ত সমাগম হয়। এসব গয়না ও টাকা ভক্তরা যা দিয়েছেন তাঁদের তা নবরাত্রির পর ফেরত দিয়ে দেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফলে এই টাকা ও গয়নার বিশেষ সাজ কেবল নবরাত্রির জন্যই করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা