ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে, নড়ে উঠছে জানালা, ভয়ে হস্টেল ছেড়ে পালালেন সব ছাত্রী
এখনও তাঁরা ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন। হস্টেল ছেড়ে পালিয়ে এসেও যেন তাঁদের ভয় কাটছে না। আর কলেজ হস্টেলে ফেরত যাবেন কিনা তা ভেবে দেখছেন তাঁরা।
হস্টেলে বেশ কাটছিল দিনগুলো। আবাসিক ছাত্রীরা একসঙ্গে পড়াশোনা, হাসি, গল্প, আড্ডায় কাটাচ্ছিলেন জীবন। কিন্তু গত বুধবার রাতটা তাঁদের জন্য বিভীষিকা হয়ে রইল। যে রাতের কথা তাঁরা জীবনেও ভুলতে পারবেন না।
সেদিন রাতে আচমকাই হস্টেলের ছাদে কার যেন পায়ের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। তারপরই ছায়া দেখতে পান হস্টেলের আনাচেকানাচে। ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসছে, আবার হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।
তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে থরথর করে নড়ে উঠতে থাকে জানালাগুলো। বিদ্যুতের আলোও স্পষ্ট ছিলনা। ওদিনই আচমকা আলোগুলো দপদপ করতে থাকে।
হস্টেলের সব আলোই জ্বলছে, নিভছে এমনটা হতে থাকে। অথচ চারধারে ঘুরেও কারও দেখা মেলেনি। আতঙ্কে কাঁপতে থাকেন হস্টেলের ৬৩ জন আবাসিক ছাত্রী। সকলের অভিজ্ঞতাই এক রকম।
সকলে একসঙ্গে থেকেও ভূতের ভয়ের আতঙ্ক তাঁদের ক্রমশ পেয়ে বসছিল। এমনই সব কাণ্ড ঘটতে থাকে হস্টেলে। ফলে আর দেরি না করে রাতেই তাঁরা হস্টেল ছেড়ে পালান।
পুরো ঘটনা পরদিন তাঁরা কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে জানিয়েছেন। এও জানিয়েছেন, তাঁরা ওই হস্টেলে আর ফেরত যাবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
তাঁদের অভিযোগ ছাত্রীদের হস্টেলে কোনও সুরক্ষাকর্মী নেই। নেই সিসিটিভিও। পুরো ঘটনা জানার পর ঘটনার একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বীরাঙ্গনা ঝলকরি বাঈ গভর্নমেন্ট গার্লস পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল।
আবাসিকদের কয়েকজন অবশ্য মনে করছেন এটা স্থানীয় ছেলেদের কাজও হতে পারে। সুরক্ষা না থাকায় তারাই লুকিয়ে হস্টেলে ঘুরে এমন বাতাবরণ তৈরি করে ভয় দেখিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা