এমনটাও সম্ভব নাকি, চন্দ্রহাসের আখ ক্ষেত এখন সকলের দেখার জিনিস
যেই শুনছেন একবার অন্তত চোখের দেখা দেখে আসছেন। এমন আখ গাছ যে জীবনে দেখার সুযোগ পাবেন সেটাই কেউ ভাবতে পারেননি।
আখ চাষ তো নতুন কিছু নয়। আখের ক্ষেতও অদেখা বিষয় নয়। তা সত্ত্বেও আখ ক্ষেতের আশপাশেই যাঁদের জীবন কেটেছে তাঁরাই এখন ছুটছেন এক আখ চাষির আখের ক্ষেত দেখতে।
আখ চাষি চন্দ্রহাস এখন এলাকার সুপারস্টার। তাঁকে সকলেই বাহবা জানাচ্ছেন। অনেকেই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন কৌশলটা জানতে।
সারাদিনে এখন দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না তিনি। কিন্তু কেন এক সাধারণ আখ চাষি রাতারাতি এমন সেলেব্রিটি হয়ে উঠেছেন? তার কারণ রয়েছে। কারণটা লুকিয়ে আছে তাঁর আখের চেহারায়।
আখ গাছ সাধারণভাবে ৬ থেকে ৭ ফুটের মত লম্বা হয়। এটাই তার সর্বোচ্চ আকৃতি। কিন্তু চন্দ্রহাসের ক্ষেতের আখ যেন আকাশ ছুঁয়েছে।
তাঁর ক্ষেতের আখের উচ্চতা কমপক্ষে ১৬ ফুট হয়েছে। প্রায় ৩ তলা সমান আখের সেই ক্ষেত দেখতে তাঁর আশপাশের মানুষ তো বটেই, এমনকি দূর দূরের গ্রাম থেকেও মানুষ হাজির হচ্ছেন। কার্যত তাঁর আখের ক্ষেত এখন স্থানীয় পর্যটন ক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে।
কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন চন্দ্রহাস? উত্তরটা তিনি নিজেই দিয়েছেন। চন্দ্রহাস জানিয়েছেন, আধুনিক ট্রেঞ্চ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে তিনি এই অসাধ্যসাধন করেছেন। আখ গাছকে ১৬ ফুটের আকার দিতে পেরেছেন।
সেইসঙ্গে এই একই জমিতে তিনি চাইলে আখের পাশাপাশি বছরে অন্য একটি ফসলও ফলাতে পারেন। এই পদ্ধতিতে সেটাও সম্ভব।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা চন্দ্রহাসের এই পদ্ধতি এখন আখ চাষিরা সকলেই কাজে লাগাতে কোমর বেঁধে তৈরি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা