National

শিকারির চোখে ধুলো দেওয়া চতুর বাঘ এবার লাফ দিল কৃষকের ঘাড়ে

বাঘটি যে সুচতুর তা আগেই টের পেয়েছে প্রশাসন। চিন্তা ছিল তার একের পর এক হানা নিয়ে। কিন্তু সে তার আচমকা হানা চালিয়ে যাচ্ছে।

বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে রাত দিন সবই আতঙ্কের প্রহর। যে কোনও মুহুর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে মূর্তিমান বিভীষিকা। তার হাত থেকে বাঁচতে যদি কেউ বাড়িতেও থাকেন তাহলেও রক্ষে নেই।

গত বৃহস্পতিবার রাতেই সে হানা দিয়েছিল ঘরের মধ্যে। সেখানে ১২ বছরের এক কিশোরী ঘুমোচ্ছিল। ঘরে ঢুকে ওই কিশোরীকে মারে বাঘটি। তার ঠিক পরদিন শুক্রবার সে ফের আঘাত হানল। এবার একেবারে দিনের বেলায় সকলের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ল সে। এবার তার শিকার হলেন এক কৃষক।


গ্রামবাসীরা জানান, সঞ্জয় মাহাতো নামে ওই কৃষক ক্ষেতে কাজ করছিলেন। তখনই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। সঞ্জয় মাহাতোর ঘাড়ের কাছে কামড় বসিয়ে ঘাড়ের হাড়টি ভেঙে দেয় বাঘ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গত ২৭ দিনে ৮ জন এই নিয়ে বাঘটির শিকার হল। বৃহস্পতিবার কিশোরীর ওপর হামলার ঘটনা বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাল্মীকি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের লাগোয়া সিনি গ্রামে ঘটে। আর তার ঠিক পরদিন সঞ্জয় মাহাতোর ওপর হামলা হল দামরো গোবর্দ্ধন গ্রামে।


তাই যা বন দফতর আগেও জানিয়েছিল যে বাঘটি খুব দ্রুত তার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে তা আবার প্রমাণ হল। এই বাঘকে পাকড়াও করতে গিয়েই নাজেহাল হয়েছেন এক বিখ্যাত শিকারি। তাঁকেই এই চালাক বাঘটিকে কাবু করার জন্য নিয়ে এসেছিল বন দফতর। কিন্তু তাঁর পাতা খাঁচার সামনে থাকা টোপ বাঘ শিকারির নাকের ডগা দিয়ে নিমেষে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঘের টিকিও ছুঁতে পারেননি শিকারি।

এখন তাই ৪০০ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। যাতে বাঘটি যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা যায়। নাহলে সে আরও কত মানুষের ক্ষতি করবে তা অজানা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button