National

আর চোখে ধুলো দেওয়া হল না, মানুষখেকোর দৌরাত্ম্য থামল ফসলের ক্ষেতে

একের পর এক মানুষ তার শিকার হয়েছেন। পাকড়াও করতে গিয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে শিকারিদের। অবশেষে সেই ৩০ দিনের দৌরাত্ম্য থামল।

বুধবার তার শিকার ছিল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার একদম অন্য জায়গায় তারই শিকার হতে হয়েছিল এক কৃষককে। তার পরদিন মা ও তাঁর ছোট ছেলেকে সে তার শিকার বানায়। সেই শিকারের পর প্রায় ১ মাসে তার শিকারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জন।

১১ জনকে মেরে এলাকায় কার্যত মূর্তিমান বিভীষিকার মত ঘুরছিল সে। আবার একই জায়গায় থাকছিলও না। ফলে বহু দূর পর্যন্ত গ্রামের মানুষের রাতের ঘুমও উড়ে গিয়েছিল।


তাকে প্রথমে ঘুমের ওষুধে কাবু করতে এক বিখ্যাত শিকারিকে আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। তাঁর সামনে দিয়ে টোপ তুলে নিয়ে চলে যায় বিহারের বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভের সেই মানুষখেকো।

একদিকে অতি সুচতুর বাঘ একের পর এক হানা দিচ্ছে। মানুষ মারছে। বিশাল চত্বর জুড়ে গ্রামবাসীদের প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ চরমে উঠছে। অন্যদিকে মানুষখেকো বাঘ নিজের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে।


অবশেষে ৪০০ জনের একটি দল গঠন করে বন দফতর। যার মধ্যে ৮ জন শার্প শ্যুটার ছিলেন। বাঘটি মা ও ছেলেকে মারার পর একটি ফসলের ক্ষেতে লুকিয়েছিল। তাকে তাড়া করে প্রথমে কোণঠাসা করে ফেলেন ওই বাঘ শিকারে নিযুক্ত দলের সদস্যরা। তারপর চালানো হয় গুলি।

এবার আর ঘুমপাড়ানি গুলি নয়। প্রশাসনের নির্দেশ ছিল বাঘটিকে দেখামাত্র গুলি করে মারার। সেটাই করা হয়। বাঘটিকে গুলি করে মারা হয়। ৪টি গুলি লাগে তার।

ক্ষেতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে মানুষখেকো বাঘটি। ওখানেই মৃত্যু হয় তার। শনিবার সকালে বাঘের মৃত্যুর পর রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন তাঁরা, এটা ভেবেই আনন্দে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button