এত অপমান সহ্য হচ্ছেনা, বিনা পয়সায় বাসে চড়তে রাজি নন অনেক মহিলা
বাসে বিনা পয়সায় যাতায়াতটা প্রথমদিকে বেশ তারিয়েই উপভোগ করছিলেন মহিলারা। কিন্তু এখন সেটাই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাঁরা বিনা পয়সায় যাত্রা করতে রাজি নন।
বাসে উঠলে ভাড়া দিতে হচ্ছিল না তাঁদের। তাঁদের রাজ্যসরকার মহিলাদের বাস যাত্রাকে বিনামূল্যের করে দেওয়ায় মন্দ লাগছিল না। সরকারি এই সিদ্ধান্তকেও মনে মনে তারিফ করছিলেন তাঁরা।
বিশেষত সেই মহিলারা যাঁদের সামান্য উপার্জনের জন্যও বাসে যাত্রা করতেই হয়। তাঁদের জন্য ভাড়া দেওয়াটা একটা বড় খরচ ছিল। সেটা মকুব হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও খুশি হয়েছিলেন।
কিন্তু কিছুদিন পর থেকে তাঁদের অনেককে এক অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। অনেক মহিলার অভিযোগ বাসে উঠলে তাঁদের নানা ভাবে ঘুরিয়ে কটূক্তি করা শুরু করেছিলেন কন্ডাক্টররা। এমনকি তাঁদের তালে তাল মিলিয়ে বাসের পুরুষ যাত্রীরাও হাসাহাসি করছিলেন।
সবই হচ্ছিল তাঁরা ভাড়া না দিয়েই যাত্রা করাকে কেন্দ্র করে। এভাবে দিনের পর দিন অপমান সহ্য হচ্ছিল না। এমনকি যে সরকার রাজ্যের মহিলাদের বিনা খরচে বাস যাত্রার সুযোগ করে দিয়েছে, সেই সরকারেরই এক মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মহিলাদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
এত কিছুর পর এবার মহিলারা পাল্টা জেগে উঠতে শুরু করেছেন। তাঁরা বাসে উঠে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের টিকিট কাটতে হবে। তাঁরা ভাড়া দিয়েই যাত্রা করবেন।
কন্ডাক্টররা দাবি করেছেন তাঁদের মহিলাদের টিকিট কাটার অধিকার নেই। কিন্তু মহিলারা নাকি জোর করছেন। ভাড়া না নিলে ঝগড়া করছেন।
তাই কন্ডাক্টররা তাঁদের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করে এখন যে মহিলা ভাড়া দিতে চাইছেন তাঁদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছেন। যদিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন তাঁরা কোনও কন্ডাক্টরকে ভাড়া নিতে বলেননি।
তামিলনাড়ুতে ভোটের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ডিএমকে। ক্ষমতায় এলে মহিলাদের বাসের ভাড়া তারা নেবে না। স্ট্যালিন সরকার ক্ষমতায় এসে সেকথা রাখেও। কিন্তু প্রকারান্তরে মহিলারা সরকারি এই সুবিধা নিতে গিয়ে রাজ্য জুড়ে অপমানের শিকার হচ্ছেন।
মহিলাদের দাবি, সুযোগ দেওয়ার পর সরকারের উচিত ছিল তা রক্ষা করা। মহিলাদের অপমান হতে দেওয়া নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা