ভাগ্য ফেরাতে ২ মহিলাকে হত্যা করে তাঁদের মাংস রেঁধে খেল ৩ জন
ভাগ্য ফেরানোর জন্য নানা ধরনের অপবিদ্যা অনুসরণ আগেও হয়েছে। তবে এবার যা ঘটল তা যে কোনও মানুষের হাড় হিম করে দিতে পারে।
তারা স্বামী স্ত্রী মিলে একটি মাসাজ সেন্টার চালায়। আধুনিক মাসাজ সেন্টার নয়। পুরাতনি প্রথা মেনে চলে এই মাসাজ। যা ভারতে বহুকাল ধরে প্রচলিত।
তাদের সঙ্গে আলাপ হয় মহম্মদ শফি নামে এক ব্যক্তির। যার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ ছিল। যদিও সেকথা ওই দম্পতির জানা ছিলনা।
তারা ক্রমে মহম্মদ শফির কথার জালে মুগ্ধ হয়ে তার দেখানো পথে চলতে শুরু করে। এরপর ভাগ্য ফেরানোর কথা ওই দম্পতিকে জানায় শফি।
তবে এজন্য মানুষ বলি দিতে হবে বলেও জানায় সে। ওই দম্পতিও রাজি হয়ে যায়। এরপর জুন মাসে ১ মহিলা এবং সেপ্টেম্বরে আরও ১ মহিলাকে ওই দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসে শফি।
২ মহিলারই বলি দেওয়া হয়। ওই ২ মহিলার স্তন প্রথমে কেটে নেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরে ২ মহিলার ক্ষেত্রেই তাঁদের দেহ টুকরো টুকরো করে রান্না করা হয়। সেই মাংস ৩ জন খেয়ে নেয়।
পুলিশ মনে করছে যেভাবে ২ মহিলাকে ডেকে এনে হত্যা করা হয়, তাঁদের সঙ্গে যা ঘটে, তারমধ্যে কোথাও যৌন বিকৃতিও লুকিয়ে রয়েছে। পুলিশ শফি এবং ওই দম্পতি ভগবল সিং ও লায়লাকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার পথনমত্থিট্টা জেলায়। এখনও যে ভাগ্য ফেরানোর নামে নরবলি, নরমাংস ভক্ষণ চলতে পারে তা দেখে পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই হতবাক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা