National

টাকা নয়, এই স্কুলে পড়তে গেলে প্লাস্টিক দিয়ে মেটাতে হয় মাইনে

স্কুলে পড়তে গেলে মাইনে তো দিতেই হয়। এ স্কুলেও মাইনে দিতে হয় ঠিকই, তবে তা টাকায় নয়। মাইনে দিতে হয় প্লাস্টিক দিয়ে।

স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রত্যেককে স্কুলের তরফ থেকেই দেওয়া হয় বই, ব্যাগ, স্কুল ড্রেস। তবে এ স্কুল কোনও সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুল নয়। এটা বেসরকারি স্কুল। এ স্কুলে পড়ার জন্য মাইনে তো দিতেই হয়। তবে এখানে মাইনের পদ্ধতিটা আলাদা।

সব পড়ুয়াকেই মাইনে দিতে হয়, তবে তা টাকায় নয়। দিতে হয় জঞ্জালে। তাও আবার নিজের বাড়ি থেকে জঞ্জাল নিয়ে এলে হবে না। এলাকা ঘুরে কুড়িয়ে আনতে হবে জঞ্জাল। বিশেষ করে পড়ে থাকা প্লাস্টিক।


সেই প্লাস্টিকের জঞ্জাল জমা দিলে তবেই মেটে মাইনে। এভাবেই মাসে মাসে মাইনে হিসাবে কুড়িয়ে আনতে হয় প্রচুর প্লাস্টিকের জঞ্জাল। যা গ্রাম বা তার আশপাশে, হেঁটে চলার পথের মাঝে কুড়িয়ে পায় পড়ুয়ারা।

স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের কুড়িয়ে আনা জঞ্জাল আদপে এলাকাকে প্লাস্টিক জঞ্জাল মুক্ত রাখতে সাহায্য করছে। এতে পরিবেশ সুরক্ষিত হচ্ছে। সুরক্ষিত হচ্ছে আগামী প্রজন্ম। সুরক্ষিত হচ্ছে পৃথিবী।


সেইসঙ্গে এই জঞ্জালের স্তূপ স্কুলের তরফে একত্র করে বিক্রি করে দেওয়া হয় যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেলে প্লাস্টিক দিয়ে অন্য কিছু বানানোর জন্য। এজন্য স্কুল কিছু টাকা উপার্জনও করে। যা দিয়ে স্কুলের পরিচালন ব্যয় কিছুটা মেটানো হয়।

বিহারের গয়া জেলার সেওয়া বিঘা গ্রামের পদ্মপাণি স্কুলের এই অভিনব মাইনে পদ্ধতির কথা এখন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যা পরিবেশ, প্রকৃতিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button